ASANSOL

আসানসোল রেল স্টেশন কে বিশ্বমানের তৈরি করার স্বীকৃতি

পাঁচ রেল অধিকারীক রওনা হয়েছেন হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনটি দেখতে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । (Asansol Rail News ) সমগ্র পূর্ব রেলের মধ্যে আসানসোল রেল স্টেশন কে বিশ্বমানের রেলস্টেশন তৈরি করা স্বীকৃতি দিল ভারতীয় রেল  পর্ষদ।এই মর্মে তারা পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার কে চিঠি দিয়ে কয়েকটি বিষয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ জারি করেছে বলে জানা গেছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০০থেকে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। আগামী অর্থ বর্ষে এই কাজ শুরু হবে এবং দু বছরের আগেই তো শেষ করতে হবে বলে জানা গেছে ।

আসানসোল রেল স্টেশন

আসানসোলের রেল ডিভিশনাল ম্যানেজার পরমানন্দ শর্মা   বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানান এই ঘোষণায় তিনি নিজেও গর্বিত। পূর্ব রেলের হাওড়া ,শিয়ালদা, মালদা এবং আসানসোল এই চার ডিভিশনে প্রায় ২০০র বেশি রেল স্টেশন আছে। তারমধ্যে আসানসোল বিশ্বমানের স্টেশন করার জন্য যে নির্দেশ গত তিন ডিসেম্বর এসেছে ।এই প্রকল্প কার্যকরী করতে সোমবারই আসানসোল ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার মুকেশ কুমার মিনার নেতৃত্বে পাঁচ রেল অধিকারীক সোমবার রওনা হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের হাবিবগঞ্জ বিশ্বমানের রেলস্টেশনটি দেখতে।

অন্য চার আধিকারিক হলেন, সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার শান্তনু চক্রবর্তী, সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুমার ,ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) অমিত কুমার এবং সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (হেডকোয়ার্টার্স) এস কে তেওয়ারি।  স্টেশনটি বিশ্বমানের সদ্য তৈরি হয়েছে। ডিআরএম জানান সদ্য  তারা ফিরে এসে  আসানসোল স্টেশনে কি কি কাজ হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত চিত্র তৈরি করবেন। তাতিনি পাঠিয়ে দেবেন পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। বিশ্বমানের স্টেশন হলে আসানসোলে কি কি হতে পারে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন বিমান বন্দরে যাত্রীদের ঢোকা বেরোন থেকে অপেক্ষা করার জায়গা সহ যে সমস্ত সুবিধা গুলো আছে সেই সব সুবিধাই আসানসোল স্টেশনে দেওয়া হবে ।এর জন্য আসানসোল স্টেশনে বেশ কিছু ভবনের নানান ধরনের রদবদল হবে বলে তিনি জানান।

আসানসোল কে কেন বেছে নেওয়া হল  এর উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন আসানসোল একেবারেই আন্তঃরাজ্য মধ্যবর্তী স্টেশনে জায়গা। তিনটি রাজ্য কে একসাথে আসানসোল যাত্রী পরিষেবা দিয়ে থাকে । তেমনি পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলা সরাসরি আসানসোলের সাথে যুক্ত ।এ ছাড়া আসানসোল  সবচেয়ে বেশি আয় করে মাল বহন করে।  হাওড়া, শিয়ালদা থেকে সুপারফাস্ট ,মেল,এক্সপ্রেস ট্রেনের  সমসংখ্যক যাত্রী কিন্তু আসানসোল থেকে যাতায়াত করে। এই সমস্ত দিক গুলিকে ভেবে হয়ত ভারতীয় রেল এটা ভেবেছে।

তিনি বলেন নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীরা যেদিক দিয়ে ঢুকবে সেই দিক দিয়ে কোন যাত্রী ন ট্রেন থেকে নেমে ফিরবে না ।তাদের জন্য আলাদা রাস্তায থাকবে। আবার প্ল্যাটফর্মের উপরে ওভারব্রিজে বহু যাত্রী অপেক্ষা করেন বিভিন্ন ট্রেন ধরার জন্য। তেমন ধরনের বেশকিছু ওভার ব্রিজ তৈরি করে সেখানে ঘরের মত থাকবে এবং দু’পাশের কাঁচ থাকবে যেখান থেকে যাত্রীরা দেখতে পাবেন কোন প্লাটফর্মে কোন ট্রেন আসছে। তখন তারা সেখানে নেমে যেতে পারবেন।

একইভাবে যাত্রীদের প্লাটফর্মে থাকার জন্য পানীয় জল ,বাথরুম সহ অত্যাধুনিক সুবিধা গুলো দেয়া হবে ।আবার যাতে ওঠা নামার সময় যাত্রীদের মধ্যে কোন বিরোধ তৈরি না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দেয়া হবে। সেইসঙ্গে স্টেশনের মধ্যে যাত্রীদের খাবারের যত রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায় সেগুলি থাকার কথা ভাবা হয়েছে। এছাড়াও যেহেতু আলাদা আলাদা জায়গায় যাত্রীরা থাকবেন, ওঠানামা করবেন আলাদা আলাদা পথে স্বাভাবিকভাবেই তাদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা হবে। এর মধ্যে যাতে কোনো অপরাধমূলক কাজ না হয় তার জন্য প্রয়োজনে যতরকম আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা উচিত তা সব ক্ষেত্রেই দেখা হবে।

পূর্ব রেলে প্রথম, সিআইআইয়ের “গ্রীণ রেলওয়ে স্টেশন প্লাটিনাম” সম্মান পেলো আসানসোল স্টেশন 

One thought on “আসানসোল রেল স্টেশন কে বিশ্বমানের তৈরি করার স্বীকৃতি

  • Shyamal Banerjee

    Biswa maner railway station ? Ki lav r ki dorkar ! Er cheye oi takay 2/3 te chhoto chhoto industry gore tullay kichhu bekar er kormo songsthan hoto. Burnpur a Airport hochhey, amm jonogon khhete pachhey na what plane ora dekhe pet bhorabe ? ? Er naam unnati ? 100000 ta sikhhito bekar jubok/jubotir kachhe opinion ta niye dekhun to….

    Reply

Leave a Reply