ASANSOL

আসানসোলে দিনদুপুরে শুট আউট, গুলিবিদ্ধ শিক্ষক, আটক ১

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৮ ডিসেম্বরঃ দিনদুপুরে আসানসোল শহরের জনবহুল এলাকায় শুট আউটের ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনলাইন কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক। বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে করে আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোডের মূর্গাশোল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবিদ্ধ শিক্ষক ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বাসিন্দা সনু সিং ( ৩৫) দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঐ শিক্ষকের একটি গুলি ডানদিকে বুকের ঠিক নিচে লেগেছে।

আসানসোলে  দিনদুপুরে শুট আউট

বিকেল নাগাদ অস্ত্রপচার করে সেই গুলি বার করা হয়েছে। আপাততঃ শিক্ষককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে সেখানে পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছান আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পরে সেখানে ঘটনার তদন্ত করতে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ।

তিনি পরে বলেন, এলাকার যুবক জিতু সাইয়ের সঙ্গে সনু সিং নামে ঐ শিক্ষকের কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো কোন কারণে। আচমকাই জিতু তাকে পিস্তল বার করে গুলি চালায়। শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জিতু নামে যুবককে আটক করা হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


পুলিশ এই ঘটনায় ঐ কোচিং সেন্টারের অন্য চার শিক্ষক দেওঘরের বাসিন্দা প্রতীক কুমার, অভিষেক কুমার ও প্রিয়াঙ্কা কুমারী ও আসানসোলের বাসিন্দা সংস্কার কুমারকেও জেরা করছে।
জানা গেছে, এলাকার এক মহিলার সুপারিশে মাস কয়েক আগে ৫ হাজার টাকা ভাড়ায় মূর্গাশোলের একটি বাড়িতে আসানসোলের সংস্কার কুমার অনলাইন কোচিং সেন্টার চালু করেন। দুমাস আগে সেখানে পড়াতে আসেন সনু সিং ও প্রিয়াঙ্কা কুমারী। শুরু থেকেই সেখানে ছিলেন বাকি দুজন।


এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক সঙ্গীকে নিয়ে ঐ সেন্টারে আসে এলাকার যুবক জিতু সাউ। প্রথমে জিতুর সঙ্গে সেন্টারের ভেতরে শিক্ষকদের বচসা শুরু হয়। এরপর জিতু সনু সিংকে টানতে টানতে সেন্টারের বাইরে নিয়ে আসে। সেখানে কথা কাটাকাটির সময় জিতু সনুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালায়। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সেখান থেকে ভর্তি করা হয় দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।


আসানসোলের বাসিন্দা সংস্কার কুমার বলেন, এর আগেও জিতু নামে ঐ যুবক সেন্টারে এসে আমাকে বলেছিলো, কেন এখানে এইসব চলছে। এখানে চলবে না সেন্টার। আমাকে হুমকিও দিয়েছিলো। এদিন সকালে একজনকে সঙ্গে নিয়ে জিতু আবার আসে ও ঝামেলা শুরু করে। আমাকে হুমকি দিচ্ছিলো। সেই সময় সনু আসে। তখন জিতু সনুকে বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে। সংস্কার কুমার আরো বলেন, শুধু আসানসোলে নয় দূর্গাপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তাদের এই কোচিং সেন্টার আছে। বুঝতে পারছি না এই ঘটনা কেন ঘটলো।


এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ঐ বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালু হয়েছিল। তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিতু সাউয়ের নামে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ আগেও রয়েছে।

Leave a Reply