চিত্তরঞ্জনে রেলকর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনার সাত মাস পরে বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড
বেঙ্গল মিরর , রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও কাজল মিত্র, আসানসোল, ১৮ ডিসেম্বরঃ সাত মাস আগে রেল শহর চিত্তরঞ্জনে খুন হওয়া রেল কর্মীকে গুলি করেছে প্রীতম সিং। চিত্তরঞ্জন পুলিশের কাছে এই খবর ছিল। কিন্তু ঘটনার পর সে পালিয়ে বিহারে রয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চিত্তরঞ্জনের রেলকর্মী তথা শিক্ষক আনন্দ কুমার ভাটের খুনে জড়িত থাকা মূল অভিযুক্ত প্রীতম সিংকে বিহারের ভোজপুর জেলার জগদীশপুর থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে চিত্তরঞ্জন পুলিশ। রাতেই তাকে সেখান থেকে আনা হয়। শনিবার সকালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ অভিযুক্ত প্রীতমকে আসানসোল আদালত পাঠিয়ে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে তার জামিন নাকচ করে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।




উল্লেখ্য, ১৪ মে সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন ফতেপুর এরিয়ার বাসিন্দা আনন্দ কুমার ভাট (৪৮)। শেষ পর্যন্ত বহু খোঁজাখুঁজির পরে পরের দিন ১৫ মে ভোরবেলা কর্নেল সিং পার্ক এলাকায় তার চার চাকা গাড়ির চালকের সিটে তাকে গুলিবিদ্ধ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়নপুর, তারাপিঠ, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম, বিহারের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, দেশের বাইরে নেপালে পর্যন্ত জাল বিছিয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল তার কাছে টিউশনি পড়তে আসা পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। কিন্তু আসল খুনির হদিশ তারা পাচ্ছিল না।
ইতিমধ্যে পুলিশের গোপন সূত্র ও টেকনিক্যাল এনালাইসিস থেকে পুলিশ জানতে পারে যে এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে মুল অভিযুক্ত প্রীতম সিং । কিন্তু ততদিনে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মুদি এদিন জানান, পুলিশের একটি বিশেষ দল বিহারের ভোজপুর জেলার জগদিশপুরের একটি জায়গা থেকে প্রীতমকে শুক্রবার গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। শনিবার তাকে আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ ও তার সঙ্গে কারা ছিল সবটাই জানা যাবে।
স্বামীর হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত ও খুনিকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে থানায় আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী গীতাঞ্জলি ভাট।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় প্রীতম একাই হিন্দুস্তান কেবলস সংলগ্ন কল্যাণগ্রাম এলাকায় ভাড়া বাড়িতে এক সময় বাস করত। পুলিশ মনে করছে, শিক্ষক খুনের এই ঘটনার সঙ্গে বিশেষ কোনো সম্পর্কের বিষয় জড়িয়ে আছে। খুনের ঘটনার সাত মাসের মাথায় চিত্তরঞ্জন পুলিশ মূল অভিযুক্তকে ধরে রহস্যের ফাঁস করার চেষ্টা করছে।
चितरंजन में रेलवे कर्मी को गोलियों से किया छलनी, हत्या से इलाके में दहशत