পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে উদ্যোগ আসানসোল দক্ষিণ থানার
বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, দীপ সেন : পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেসমন্বয় বাড়াতে উদ্যোগ নিতে দেখা গেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
রবিবার আসানসোলের ৩৯ নং ওয়ার্ড কালিপাহাড়ি মোড়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অভিজিৎ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে একটি কোঅর্ডিনেশন মিটিংয়ের আয়োজন করে আসানসোল দক্ষিণ থানা। ওই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ থানার অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর বাচ্চু রায় চৌধুরী।
এ বিষয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অভিজিৎ চ্যাটার্জি বলেন যে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষ থানায় যেতে চান না অথবা কুণ্ঠাবোধ করেন। তাই জনসাধারণ এবং মানুষের মধ্যে ব্যবধান কমাতে এবং সম্পর্ক স্থাপন করতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হলো। আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত যে কয়টি ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে প্রতি রবিবার এইরকম বৈঠকের আয়োজন করা হবে যেখানে দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিকরা সেই সব এলাকার মানুষের যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা শুনবেন এবং সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
এদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলর বাচ্চু রায় চৌধুরী বলেন যে, “বহুকাল ধরে শোনা যেত পুলিশ একমাত্র সমাজবিরোধী চোর – ডাকাত ধরে, কিন্তু বিগত ১০ বছরে এই চিত্র পাল্টে গিয়েছে। পুলিশ এখন রক্তদান শিবির করে, বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করে, প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজখবর রাখে।
পুলিশ এখন অনেক মানবিক হয়েছে কিন্তু পুলিশ শুধুমাত্র মানবিক হলেই হবেনা সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে পুলিশের সঙ্গে সহযোগীতা করবার জন্য। পুলিশ এবং জনসাধারণের যৌথ উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাবে এবং সমস্যার সমাধান করা যাবে দ্রুত। তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আসানসোলে মহিলা থানা করা হয়েছে যাতে মহিলারা সেখানে গিয়ে সাবলীলভাবে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন”। তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন।
ওই অনুষ্ঠানে কিছু মানুষের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রবল ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য কম্বল বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার মানুষের সঙ্গে অন্যান্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সমাজকর্মী এবং সমাজসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।