আসানসোল পুরনিগম নির্বাচন লড়াইয়ে নেই জিতেন্দ্র তেওয়ারি, প্রার্থী হলেন স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠরা
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ ডিসেম্বরঃ বছর শেষের দিনে বড় চমক। শাসক দল থেকে আসানসোল পুরবাসী সবাইকে অবাক করে দিয়ে এবারের পুর ভোটে প্রার্থী হলেন না বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তৃনমুল কংগ্রেস পরিচালিত বিদায়ী পুর বোর্ডের মেয়র ছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিধান সভা নির্বাচনের ঠিক আগে শাসক দল ছেড়ে তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। পান্ডবেশ্বর বিধান সভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়ে তিনি অবশ্য হেরে যান। তবে জিতেন্দ্র তেওয়ারি নিজে লড়াই না করলেও, নির্বাচনের ময়দানে নামিয়েছেন স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারিকে। একইসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি সঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেস ছেড়ে আসা তার সব অনুগামীরাই এবারের পুর ভোটে আসানসোলের পুর ভোটে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য বিজেপি। তাতে দেখা যাচ্ছে আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ড থেকে চৈতালি তেওয়ারি প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে ২৯ নং ওয়ার্ডে গৌরব গুপ্তা, ১৫ নং ওয়ার্ডে আদর্শ শর্মা, ১৮ নং ওয়ার্ডে অমিত তুলসিয়ান, ৪৩ নং ওয়ার্ডে আশা শর্মা, ৪৪ নং ওয়ার্ডে শিবপ্রসাদ বর্মন, ১০২ নং ওয়ার্ডে অভিজিৎ আচার্য ও ১০৫ নং ওয়ার্ডে ইন্দ্রানী আচার্য প্রার্থী হয়েছেন।
একইভাবে বিগত পুর বোর্ডের দলের দুই বিদায়ী কাউন্সিলর ভৃগু ঠাকুর ও মধুমিতা চট্টোপাধ্যায় নিজেদের পুরনো ওয়ার্ড ৪১ ও ৮৪ নং থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে আসানসোল জেলা বিজেপির সভাপতি দিলীপ দে বলেন, ৮৫ শতাংশ প্রার্থী পুরনো ও দলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া নতুন যারা দলে এসেছেন তাদের মধ্যে কয়েক জনকে দল যোগ্য মনে করেছে, তাই প্রার্থী করেছে। কিছু রয়েছেন সমাজের বুদ্ধিজীবি মানুষ। জিতেন্দ্র তেওয়ারি প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, তিনি আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র।
তার অভিজ্ঞতাকে এবারের পুর ভোটে কাজে লাগানো হবে। তিনি পুরভোটে দলকে পরিচালনা করবেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করবো। উদ্দেশ্য পুর বোর্ড দখল করা।
প্রসঙ্গতঃ, শেষ লোকসভা ও তার পরে বিধান সভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় বিজেপি ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯০ ও ৬৬ টি ওয়ার্ডে শাসক দলের আগে আছে। এর ভিত্তিতে পদ্ম শিবিরের দাবি, তারা ক্ষমতায় আসছে।