আসানসোলে মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে বিজেপি বিধায়ক ও নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ শ্লোগান তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩ জানুয়ারিঃ আসানসোলের জিটি রোডের সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলে মনোনয়ন কেন্দ্রে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় শেষ দিনের মনোনয়ন পত্র জমার প্রক্রিয়া। ভেতর বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা বলতে গেলে একসঙ্গে জমা দিতে থাকেন মনোনয়ন পত্র।
তারই মধ্যে দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির নেতা ও কর্মীদের বিবাদে মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে ছড়ালো উত্তেজনা। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপি নেতাদের মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভ দেখানো তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই কেন কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবেন ? বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইকে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী দু’পক্ষকে হটানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তার অভিযোগ, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। এর বাইরে তারা বেরিয়ে আসতে পারছেনা। বিক্ষোভের মুখে পড়া কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, আমাদেরকে প্রশাসনের তরফেই বলা হয়েছিলো, আপনাদের দলের প্রার্থীদের বেলা বারোটার পরে মনোনয়নের জন্য আসবেন। তার আগে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। সেই মতো আমরা সাড়ে বারোটার পরে আসি। আমরা প্রার্থীদের কেন্দ্রের মধ্যে ঢোকাচ্ছিলাম। তখন তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদেরকে ঘেরাও করে স্লোগান দেয়।
লক্ষ্মণবাবুর অভিযোগ, মন্ত্রী ও দুই বিধায়ক মনোনয়ন কেন্দ্রের ভেতরে অথচ আমি বিধায়ক হয়েও বাইরে। আমাকে পুলিশ আটকে দিলো। এটাই পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের দাবি, কাউকে ঘেরাও করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা নিজেরাই প্রার্থীদের নিয়ে এসে স্লোগান দিচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। তবুও পুলিশ আমায় বলাতে আমি সবাইকে সরে যেতে বলি।
এদিক মন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্য, আমি আসানসোল পুরনিগম এলাকার ভোটার। যে বিধায়ক অভিযোগ করছেন, তিনি আসানসোলের ভোটার নন। বহিরাগতকে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। আমি কি বলবো। এটা পুলিশের ব্যাপার।
তবে বড় কোন কিছু হওয়ার আগেই ঘন্টা খানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে।