BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

আদিবাসীদের জমি ভুও তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রি হচ্ছে, চারজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ

সালানপুর থানায় দশটি মৌজার নাম দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএলআর ও

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। ইসিএলের সালানপুরের  খনি এলাকায় আদিবাসীদের জমিতে নতুন খনি সম্প্রসারণ প্রকল্পের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাদের একের পর এক জমি নিয়ে মালিকদের কোথাও মৃত দেখিয়ে কোথাও না জানিয়ে সেইজমিকে রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর হয়ে যাচ্ছে। এমন একাধিক অভিযোগ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে জমা পড়ার পর সালানপুর ব্লকের  বি এল আর ও শুভদীপ টিকাদার সালানপুর থানায় এমন অন্তত দশটি মৌজার নাম দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন । কিভাবে আদিবাসী বঅন আদিবাসীদের জমি পঞ্চায়েত প্রধানের ভুও তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রি হচ্ছে তা এই দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক কেও তিনি জানান।

sample photo

এই অভিযোগের তদন্তে নেমে তদন্তকারী অফিসার রুপনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাহুল মন্ডল চারজনকে গ্রেপ্তার করেন এবং শুক্রবার আসানসোলে আদালতে তাদের তোলা হয়। পুলিশ তাদের দশ দিনের হেফাজতে চাইলেও আদালত পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে সালানপুর থানার ফকরাডির  বাসিন্দা অবিনাশ  সরেন,প্রদীপ বাউরী এবং  বরাভূই গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান মারান্ডি ও নিমাই মারান্ডিকে তদন্তে নেমে রুপনারায়নপুর ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আসানসোল আদালতে পাঠায় । 

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে সালানপুর, বাসুদেবপুর, পাহাড়পুর, মনোহরা,ফুলবেড়িয়া,সামডি,মোহনপুর এলাকার দশটি মৌজাতে ইসিএল তাদের নতুন করে কয়লা খনির সম্প্রসারণের জন্য নেবে বলে জানিয়েছে। আর তা প্রচার হতেই সেই দাগ নম্বরের জমি গুলোর জমি মাফিয়াদের চক্র একের পর এক জমির মালিক কে  হয় মৃত বলে বা জমির মালিকদের না জানিয়ে  রেগিস্ট্রি করিয়েছে সরকারি দপ্তরে। যেমন এক্ষেত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলা মাঝি ও সুংলি মেঝান নামে দুজনকে মৃত দেখিয়ে অবিনাশ তাদের জমি তার সঙ্গীদের সহযোগিতায় বিনোদ মুর্মু নামে একজনকে বিক্রি করেছে।

 প্রাথমিকভাবে বি এল আর ও দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এই কাজের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের থেকে জমির মালিকদের পরিবারের চার্ট সহ তথ্য দিতে হয়। সেগুলিও প্রধান দের নামে ভুও তৈরি করে জমি মাফিয়ারা রেজিস্ট্রেশন করাছে। এক্ষেত্রে বি এল আর ও জানান তারা রেজিস্ট্রি অফিসকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কোনও জমি রেজিস্ট্রি করার আগে সেই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের ক দেয়া তথ্য সঠিক কিনা তা জেনে নিলে  এই দুর্নীতি কমবে ।

অন্যদিকে জমি মাফিয়াদের কেউ কেউ পুলিশকে জানিয়েছে এই চিহ্নিত জমিগুলি তারা ইসিএলকে যখনই দেবে তখন তাদের নামে দুই একর করে দেখাবেন।এর ফলে  জমির দাম, পুনর্বাসন প্রকল্প ছাড়াও একজন করে চাকরি পায়। সেখানেও লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার হয়। সমস্ত বিষয়টি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জমি মাফিয়াদের নাম এবং যারা এই কাজ করছে তাদের তথ্য নিশ্চয়ই উঠে আসবে

Leave a Reply