AMC POLLASANSOL

তৃণমূল ‘শিল্পাঞ্চলে’ সর্বাত্মক উন্নয়ন করেছে : মলয় ঘটক

২৭, ৪৪, ৫৫ ও ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় পৌঁছন মন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও কাজল মিত্র: আসানসোল মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অমরনাথ চ্যাটার্জির সমর্থনে আসানসোল বাজারে নতুন ধর্মশালা এবং ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপুরে অবস্থিত জিটি রোডে মনোজ সিনেমা হলের কাছে নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। ৪৪ নং ওয়ার্ডে নতুন ধর্মশালায় এই অনুষ্ঠানে জগদীশ শর্মা, জগদীশ কেডিয়া, শিব প্রসাদ ভগত, মুকেশ শর্মা, বিমল জালান, রাকেশ কেদিয়া, মুকেশ ঝা সহ ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বহু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

शिल्पांचल में चौतरफा विकास

মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আজ রাজ্য সহ শিল্পাঞ্চলে সর্বাত্মক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। আজ আসানসোলে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক উন্নয়ন হয়েছে। আসানসোলের জেলা হাসপাতালকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে শিক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়েছে। অভাবী পরিবারের শিশুরাও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে সকল শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী এর মত অনেক স্কিম রয়েছে। যার ফলে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের নাগরিকরা।

তিনি আরো বলেন, আসানসোলেও যথাযথ উন্নয়ন হয়েছে। এই সময় মন্ত্রী মলয় ঘটক সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি সবাইকে বলেন, রাজ্যের মমতা সরকার সর্বদা জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য, সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের সাধারণ মানুষের দুয়ারে যেতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক পরিচালিত জনস্বার্থ প্রকল্পকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি রাজ্যে সর্বাত্মক উন্নয়ন করেছে।

এদিকে কুমারপুরের সভায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী দীপা চক্রবর্তী, ওয়ার্ড সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী, ভানু বোস, এস এম জাকি, গুলসানোয়ার, মহ: কাইফু, মহ: আব্দুল সহ তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সকল অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

Durgapur मेनगेट में तृणमूल कार्यालय बनाने को लेकर बवाल, दो गुटों के कार्यकर्ता हुए आमने-सामने

নির্বাচনী সভায় বিজেপি এবং নির্দল প্রার্থীদের তীব্র আক্রমণ

রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী সভা করেন। প্রথমত, মন্ত্রী মলয় ঘটক ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রীতা বিশ্বাসের সমর্থনে আর কে ডাঙ্গালের নির্বাচনী সভায় বিজেপি এবং নির্দল প্রার্থীদের তীব্র আক্রমণ।

তিনি বলেন যে দেশে তিন ধরণের নির্বাচন হয়, একটি কর্পোরেশন/পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন। আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এই বলে যে বিজেপির সাথে কাজ করা যাবে না। এদিকে ওই ২৭ নং ওয়ার্ডে গত পুরনির্বাচনে একজন নির্দল প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং সাত বছর কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও ওয়ার্ডে কোনো কাজ করেননি। আজকে যদি কোনো নির্দল প্রার্থী এখানে আবার নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে তিনি আমার বাড়ির সামনে এসে লাইন দেবেন তাকে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তিনি বলেন যে জনগণকে বেছে নিতে হবে যে ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প কারণ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে তৃণমূলের দ্বারা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে বোর্ড গঠন করা হবে। তিনি বলেন যে হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিও হিন্দিভাষী জনগণের উন্নতির জন্য মমতা সরকার যতটা কাজ করেছে ততটা করেনি।

তৃণমূল প্রার্থী ডা: দেবাশীষ সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভা

-রবিবার আসানসোল পৌর নিগমের ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মোড়ে তৃণমূলের সভা করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত বিভাগীয় মন্ত্রী মলয় ঘটক।

এ দিনের সভায় মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডা: দেবাশীষ সরকার সহ তৃণমূলের নেতৃত্বেরা। পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে ৭৫ জন বিজেপি সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে।

এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়,ভারতবর্ষের কোথাও দেওয়া হয়না। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেই দেওয়া হয়। আজকে মা বোনদের কারুর কাছে হাত পাততে হয়না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি করে দিয়েছেন লক্ষ্মী ভান্ডার কারুর হাতে নয় সোজা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে। আজকে মেয়েদের পড়াশোনার জন্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প করে যাতে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে। পাশাপাশি কেন্দ্র কে কটাক্ষ করে বলেন আচ্ছে দিনের দুজন পুঁজিপতি আর একজন মোদি ফ্রেপবাজ,দুজন আদানি আরেজন আম্বানি। এতদিনে ভারতবর্ষের ব্যাংক গুলো ছিলো সরকারি। তিনি ভারতবর্ষের মানুষের জন্যে ভাবেননা কিন্তু সেই ব্যাংক গুলোকে প্রাইভেটের হাতে তুলে দিচ্ছে এই মোদি সরকার বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *