ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিডিও তুলতে বাধা পেয়ে ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ দুই স্কুল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে, আটক ১

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপ সেন, আসানসোল, ৮ ফেব্রুয়ারিঃ করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিডিও তোলা হচ্ছিলো। ভ্যাকসিন সেন্টারে থাকা নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সেই ভিডিও তুলতে বাধা দেন। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা ও কথা কাটাকাটি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ লাগোয়া ফেসিলিটি ম্যানেজারের অফিসে হামলা চালিয়ে কম্পিউটার ভাঙ্গার অভিযোগ উঠলো দুই স্কুল পড়ুয়া ও তাদের সঙ্গে থাকা এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

लड़कियों ने मचाया हंगामा

খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ হাসপাতালে আসে। পুলিশ দুই পড়ুয়ার সঙ্গে থাকা দিদিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে গোটা ঘটনার পেছনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই স্কুল পড়ুয়াকে পুলিশ অবশ্য আটক করেনি।
জানা গেছে, এই ঘটনার কথা জানিয়ে জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুপার একইসঙ্গে দুই স্কুল পড়ুয়া যে স্কুলে পড়ে সেখানের প্রধান শিক্ষিকাদের তাদের ব্যাপারে জানাবেন।


আসানসোলের জিটি রোডের মূর্গাশোলের একটি আবাসনের বাসিন্দা দুই কিশোরী আসানসোলের দুটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম ও একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ দুই স্কুল পড়ুয়া দিদির সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন নিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসে। ভ্যাকসিন সেন্টারে যখন এক স্কুল পড়ুয়া ভ্যাকসিন নিচ্ছিলো, তখন একজন মোবাইলে তার ভিডিও তুলছিলো। তা দেখে নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা তা তুলতে মানা করেন ও বাধা দেন। তারপরেও ভিডিও তোলা হচ্ছিলো। এরপর খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপাররা সহ অন্য কর্মীরা সেখানে আসেন। তারাও এর প্রতিবাদ করেন ও তোলা ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। কিন্তু তা না করে দুই স্কুল পড়ুয়া ও তাদের দিদি হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় তর্কবিতর্ক।

তারই মধ্যে স্কুল পড়ুয়া ও তার দিদি এমারজেন্সি বিভাগ লাগোয়া ফেসিলিটি ম্যানেজারের রুমে থাকা কম্পিউটার টেবিল থেকে মাটিতে ফেলে দেয়। হাসপাতাল থেকে আসানসোল দক্ষিণ থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসে। পরে পুলিশ একজনকে আটক করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, ভ্যাকসিন নিতে এসে মোবাইলে ভিডিও করতে দেখে নার্সরা আপত্তি করেন। কিন্তু কোন কথা না শুনে তারা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজারের রুমে থাকা কম্পিউটারের মনিটার মাটিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে একজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও, গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। সুপার বলেন, চিকিৎসক হিসাবে আমার মনে হচ্ছে, দুই স্কুল পড়ুয়া কোন কারণে ডিপ্রেশনে রয়েছে। তাই তারা যে দুই স্কুলে পড়ে, সেখানকার দুই প্রধান শিক্ষিকাকে ঘটনা জানানো হবে বলে জেলা হাসপাতালের সুপার বলেন । অন্যদিকে, পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় যাকে আটক করা হয়েছে, তাকে জেরা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Weather Updates : फिर बारिश का अनुमान, ठंड होगी विदा

Leave a Reply