ASANSOL

আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের ফলে সমান, লটারিতে জয়ী তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী

রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৪ ফেব্রুয়ারিঃ আসানসোল পুরনিগমে তৃণমূল ঝড়। তবে তারই মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছিল আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের প্রার্থী দু’জনেই সমসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। যে কারণে সকালে ভোট গণনা হলেও, ফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। শেষ বেলায় অবশ্য বাজি জিতে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আশা প্রসাদ।


লটারিতে জয়ী তৃনমুল


আসানসোল পুরনিগমের ৩১ নং ওয়ার্ডে জোর টক্কর হয় আশা প্রসাদ ও সিপিএমের প্রার্থী তনুশ্রী রায়ের মধ্যে। দু’জনেই ২,৩৫৮টি করে ভোট পেয়েছিলেন। তাদের দু’জনের অনেকটা পিছনে বিজেপিপ্রার্থী রেখাকুমারী শর্মা। তিনি পান ১,০০২ ভোট। এই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী সমসংখ্যক ভোট পাওয়ায় লটারির প্রথার মাধ্যমেই ফলাফল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


কমিশন সূত্রে জানা গেছে, টাই হলে টসের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণের প্রথা আগেও ছিল। আগে একটি ১০ পয়সার কয়েন দিয়ে টস করা হত। তবে এখন সেই ব্যবস্থায় কিছুটা অদলবদল ঘটেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দু’টি কাগজে দুই প্রার্থীর নাম লেখা হয়। প্রার্থীদের নাম লেখা ঐ কাগজের টুকরো দু’টি একটি পাত্রে রাখা হয়। তার পর এক জন গণনাকর্মী বাক্স থেকে যে কোনও একটি কাগজ তুলে নেন। সোমবার দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনার সময় ৩১ নং ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীকে হলের মধ্যে ডাকা হয়। এরপর ঐ পাত্র থেকে কাগজের টুকরো তুলতে বলা হয়।

এসডিওর হাতে তোলা কাগজের টুকরোয় তৃণমূল প্রার্থীর নাম লেখা ছিল। তাকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে কমিশন।
তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। অন্যদিকে, লটারিতে হার মেনে নিয়েও সিপিএমের প্রার্থী বলেন, মানুষের ভোটে হারিনি। হেরেছে লটারিতে। কমিশন এই পদ্ধতিতে তিনি বলেন, কি করা যায়, পরবর্তী কালে সবার সঙ্গে আলোচনা করছি।

আসানসোলে সবুজ ঝড়, নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বোর্ড গঠন তৃনমুলের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *