চিত্তরঞ্জনের শ্রমিক আন্দোলনের চাপে, রেল বোর্ড চিত্তরঞ্জন ও ডানকুনি কারখানার ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’বছরের জন্য বাড়িয়ে দিল
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: ( CLW NEWS) গত আগস্ট মাসে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জন্য রেল বোর্ড ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চলতি আর্থিক বছরের তুলনায় কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করে দিয়েছিল ।রেল বোর্ড গত ২৬ শে আগস্ট ঘোষণা করে ছিল চিত্তরঞ্জন কারখানায় আগামী অর্থবছরে ২৯০ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হবে। সেখানে চলতি আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৪৮৫।
জানা গেছে করোনাকালে এখানকার শ্রমিক থেকে আধিকারিকরা উৎপাদন বাড়িয়ে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে রয়েছেন। রেল বোর্ডের আচমকা এই কারখানার উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশের প্রতিবাদে গত দুমাস ধরে এখানকার শ্রমিক সংগঠনগুলো ব্যাপক আন্দোলনে নেমেছিল । সিটু ইউনিয়ন এখানে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শূন্যপদ পূরণের দাবিতে রীতিমতো বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
অন্যদিকে আই এন টি ইউ সির রাজ্য কমিটির নেতারা এই কারখানার নেতাদের সাথে এই একই বিষয়ে সভা করেন।আই এন টি ইউ সির সর্বভারতীয় সভাপতি এম রাঘভাইয়া আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা রেল বোর্ডের কাছে ইতিমধ্যে লিখিতভাবে দাবি করেছেন অবিলম্বে চিত্তরঞ্জনের উৎপাদন বাড়াতে হবে । সেই সঙ্গে এই কারখানায় বন্দেভারতের ট্রেনের রেল ইঞ্জিন তৈরির অর্ডার দেয়া হোক অথবা রেল ওয়াগন বা মেট্রো রেলের কোচ নির্মাণ করা হোক এখানে।
আই এন টি ইউ সির চিত্তরঞ্জনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিনহা শুক্রবার বিকেলে জানান শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি মেনে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এদিনই রেলবোর্ড বাড়াল। যেখানে গত আগস্ট মাসে ঘোষণা হয়েছিল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় ২৯০ টি এবং ডানকুনিতে ৫০টি ইঞ্জিন তৈরি হবে সেখানে রেল বোর্ডের ডিরেক্টর (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) কুমারসম্ভব শুক্রবার অর্ডার পাঠালেন জেনারেল ম্যানেজারের কাছে। তাতে চিত্তরঞ্জনের ৪৫০ এবং ডানকুনিতে ৯০ টি দেশের সর্বাধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন ৯০০০ অশ্বশক্তি ক্ষমতার ইঞ্জিন তৈরীর অর্ডার দেয়া হল।তার পরের অর্থবর্ষতেও এই একই পরিমাণ ইঞ্জিন তৈরির অর্ডার দেয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও সি পি আর ও অলক কুমার বলেন ইঞ্জিন নির্মাণের অর্ডার রেলবোর্ড ঠিক করে ।তারা যতগুলি অর্ডার দেবেন ততও গুলি তৈরি হবে ।অপরদিকে সিটু ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজিব গুপ্ত বলেন আমরা গত দুমাস ধরে নানান ভাবে দিল্লি কে জানাচ্ছিলাম কোনভাবেই যাতে এখানের উৎপাদন কমানো না হয় ।একই সঙ্গে আমাদের দাবি জেনারেল ম্যানেজারের হাতে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হোক এবং শূন্য পদ গুলি পূরণ করা হোক ।একইভাবে রেলের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত মালঙ্গি ও রেল কর্মচারী ইউনিয়নের প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Very Good Article For UP Scholership (https://upscholarship.org.in/)