ASANSOL

নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার দোষী সাব্যস্ত ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ মার্চঃ ( Asansol Crime News ) ৫ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করার মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসানসোলের কুলটি থানার কুলতোড়ার একটি মন্দিরের পুরোহিত ধনঞ্জয় চক্রবর্তীর সোমবার সাজা ঘোষণা হলো আসানসোল আদালতে। পুরোহিতের সবমিলিয়ে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে । একই সঙ্গে ঐ নাবালিকা ভবিষ্যতের ও প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং পকসো বিশেষ আদালতের বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ।


উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পুরোহিতকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিলো। এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি তাপস উকিল এদিন বলেন, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কুলটি থানার কুলতোড়া দুর্গা মন্দিরে এলাকার ৫ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন পুরোহিত ধনঞ্জয় চক্রবর্তী। নাবালিকা বাড়ি ফিরে আসে কাঁদতে কাঁদতে। তখন বাড়িতে থাকা তার জেঠিমা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে গোটা ঘটনার কথা জানায়। নাবালিকা আরো বলে, তাকে ঐ পুরোহিত ১০ টাকা দিয়ে বলেছে চকলেট খেয়ে নিবি। আর বাড়িতে কিছু বলবি না। এরপর নাবালিকার বাবা গোটা ঘটনার কথা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে জানান সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল মন্ডল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।

ঐ দিনই অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতর বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ নং ও পকসো আইনের ৪ এবং ৮ নং ধারায় মামলা করে। সেদিন থেকেই অভিযুক্ত আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে। এই মামলায় চিকিৎসক ও ঐ শিশুটি সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষী দেন বিচারকের সামনে।


পিপি বলেন, বিচারক ৬৫ বছর বয়সী ধনঞ্জয় চক্রবর্তীকে গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এদিন সব ধারা গুলি মিলিয়ে ২০ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। তাপসবাবু আরো বলেন, বিচারকের কাছে আমি আবেদন করেছিলাম ওই শিশুটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। সেইমতো বিচারক স্টেট গভর্নমেন্ট ভিকটিম কমপেনশেসন ফান্ড থেকে স্টেট লিগাল সার্ভিসের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *