ASANSOL

আসানসোল পুরনিগম গাড়ুই নদী চিহ্নিতকরণের কাজ করবে, মেয়রের উপস্থিতিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সেচ ও বিএলআরও দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে তৈরী করা হলো কমিটি

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য / রাজা বন্দোপাধ্যায় আসানসোল, ১০ মার্চঃ আসানসোল শহরে পুরনিগম ( Asansol Municipal Corporation ) এলাকার মধ্যে ঠিক কতটা জায়গা নিয়ে গাড়ুই নদী ( Garui River) ছিলো ও এখন সেই নদীর কি অবস্থা, তা জানতে ” ডি মারকেশান বা চিহ্নিতকরণ ” করার সিদ্ধান্ত নিলো আসানসোল পুরনিগম। শুক্রবার সেই কাজ হবে। আসানসোল পুরনিগমের সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে সেচ দপ্তর ও বিএলআরও অফিস এই কাজ করবে। এছাড়াও গাড়ুই নদী নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের মিটিং হলে গাড়ুই নদী সংস্কার ও নদীর দুপাশ দখল মুক্ত করা নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো বিএলআরও, সেচ ও এমইডি দপ্তর। এই বৈঠকে সব দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়ুই নদী সংস্কার নিয়ে একটা রুপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তবে, কোন দপ্তরের কাছেই পুরনো কোন ম্যাপ বা মানচিত্র না থাকায় গাড়ুই নদী কোথায় কতটা চওড়া ও তার গভীর কতটা তা জানা যায়নি। তবে গুগল থেকে একটি ম্যাপ আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ বার করেছে। সেই ম্যাপ থেকে পুর কতৃপক্ষ একটা ধারনা তৈরি করেছে। ঠিক হয়েছে এই ম্যাপ দেখেই আপাততঃ কাজ শুরু করা হবে।


বৈঠকের শেষে ডেপুটি মেয়র বলেন, শুক্রবার থেকে সৃষ্টি নগর থেকে নদী চিহ্নিত করা বা ডি মারকেশানের কাজ শুরু হবে। ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া পুর এলাকা নদী যতটা আছে, সেখান পর্যন্ত এই কাজ হবে। সবমিলিয়ে সাড়ে ৫ কিলোমিটার নদী পুর এলাকার মধ্যে আছে। দেখা হবে যে, কোন জায়গায় কতটা নদী দখল হয়েছে। কতটা চওড়া নদী ছিলো ও এখন কতটা আছে। আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে, তারা বেঙ্গল সৃষ্টিকে কতটা জমি দিয়েছে, আবাসন তৈরীর জন্য। তিনি আরো বলেন, চিহ্নিত করার কাজ শেষ হওয়ার পরে নদী পরিষ্কার বা ক্লিন করার কাজ শুরু করা হবে। তারজন্য জরুরী ভিত্তিতে টেন্ডার করা হবে। নদী থেকে তোলা বর্জ্য পদার্থ নদীর পাড়ে রাখা হবেনা। তা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে।


অভিজিৎ ঘটক বলেন, আমরা গাড়ুই নদী নিয়ে কোন ঢিলেমি আর করবো না। নদী সংস্কারের পাশাপাশি, নদীর দুই পাশ দখল মুক্ত করা হবে। কোন সংস্থা দখল করে নির্মাণ করে থাকলে, তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে আইন মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে গরীব মানুষেরা ঘরবাড়ি তৈরী করে থাকলে, তাদের আগে পুনর্বাসন দিয়ে, তারপর দখল মুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, সৃষ্টি নগরের সুবিশাল আবাসন প্রকল্প এলাকায় নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে, জল বার করার জন্য হিউম পাইপ বসানো হয়েছে। পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, আবাসন প্রকল্প করা বেসরকারি সংস্থা সরাসরি নদী দখল করার কথা মানেনি। তবে তারা বলেছে, তাদের এলাকায় নদীতে যে পাইপ বসানো হয়েছে, তা তারা তুলে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *