ASANSOL

দোল পূর্ণিমার আগের দিন সন্ধ্যায় “চাঁচর” তথা “নেড়াপোড়া” বা “অগ্নি উৎসবে” মাতল শিল্পাঞ্চলবাসি

বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : রাত পোহালেই দোল পূর্ণিমা। আর সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই “চাঁচর” তথা “নেড়াপোড়া” বা “অগ্নি উৎসবে” মেতে উঠল শিল্পাঞ্চলবাসি।
বিভিন্ন জায়গায় নেড়া পোড়ার আয়োজন করা হয় আসানসোলের কোর্ট সংলগ্ন স্পন্দন পার্কে “উড়ান” সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ১১ তম অগ্নী উৎসব পালিত হয়। সেখানে ঢল নামে মানুষের। ওই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শর্মিলা ব্যানার্জী, মধুমিতা জামিনদার, দেবাশীষ জামিনদার, বন্দনা ঘোষ, শ্যামল হোম রায়, আভা মল্লিক ছাড়াও
বিভিন্ন বয়সের সাহিত্যকর্মী, নাট্যকর্মী ছাড়াও সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ। ইরানের পক্ষ থেকে সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা মহামারী থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো এটাই একসময় আমরা ভেবে উঠতে পারিনি। করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, আইনজীবী, পুলিশকর্মী, সাংবাদিক বন্ধুরা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা ভোলার নয়। আজ এত মানুষের সমাগম দেখে সত্যি পুরোনো ছন্দে পৃথিবী ফিরছে এটা উপলব্ধি করে ভালো লাগছে।”

এছাড়া আসানসোল রবীন্দ্রভবনের বিপরীতে আসানসোল হাটে একইরকম ভাবে চাঁচর তথা নেরাপোড়ার আয়োজন করা হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কবি বিকাশ গায়েন, এছাড়া সমাজকর্মী সুদেষ্ণা ঘটক, শর্মিলা ব্যানার্জী, মধুমিতা জামিনদার, দেবাশীষ জামিনদার , শিল্পী পার্থ নাগ, অর্ণব মুখার্জি এবং আরো অন্যান্য সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্ব।


আসানসোল হাটে চিত্রশিল্পী পার্থ নাগ বলেন, ” দীর্ঘদিন পরে এত মানুষের বাঁধন ছাড়া আনন্দ দেখে সত্যিই ভালো লাগছে এখানে কীর্তন ছাড়াও ছোট ছোট শিশুরা নৃত্য পরিবেশন করছেন। দীর্ঘ তিন মাস পরে সবার কাছে এটাই প্রাপ্তি।” এদিকে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ন্যাড়াপোড়া আনন্দে মেতে উঠে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *