ASANSOL

আসানসোলে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে মন্তব্য বিহারিবাবুর নতুন ইতিহাস হবে

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যা ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত আসানসোল, ২১ মার্চঃ ঢাকের তালে তালে, দলের কর্মী ও সমর্থকদের স্লোগানের মধ্যে দিয়ে হুড খোলা গাড়িতে রোডশোর মাধ্যমে সোমবার সকালে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বেরোন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রায় দু’ঘন্টা পরে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে আসানসোলের জেলা শাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আশাবাদী “বিহারি বাবু”র মন্তব্য, আসানসোলে ” নয়া ( নতুন) ইতিহাস তৈরী হবে। এটা একটা “হিস্টোরিক্যাল মুমেন্ট “। তা হবে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব।

Asansol में नामांकन 


এদিন ঠিক সকাল দশটার সামান্য কিছু সময় পরে আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআরে রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। ঢাকের সঙ্গে ছিলো তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক ভিড়। হুড খোলা গাড়িতে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রীরামপরের সাংসদ কল্যান বন্দোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়।

প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা বিএনআর থেকে আসানসোলের সেনরেল রোডের কন্যাপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে শত্রুঘ্ন সিনহা পৌঁছান বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু দলের প্রার্থীকে নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে যান। সঙ্গে ছিলেন ইলেকশন এজেন্ট আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও তিন প্রস্তাবক জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও পুর কাউন্সিলর শিখা ঘটক।


কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য শত্রুঘ্ন সিনহার মনোনয়ন পত্র তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় দেরী হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ শাসক দলের প্রার্থী তার মনোনয়ন পত্রটি পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তথা আসানসোল লোকসভার আরও ( রিটার্নিং অফিসার) এস অরুণ প্রসাদের হাতে তুলে দেন।
এরপরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিহারি বাবুর দাবি, আসানসোলে একটা নতুন ইতিহাস তৈরী হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। তিনি বলেন, আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম। এরপর সব সমস্যা বুঝে তার সমাধানে যা করার করবো। আমি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছি। নোট বন্দী ও জিএসটির বিরুদ্ধে আমি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছিলাম। সবার আগে হলো দেশ। তারপর দল ও সবার শেষে হলেন ব্যক্তি।


সবশেষে তার মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন “বেঙ্গল অফ টাইগার্স “। তার সেন্স অফ হিউমার খুব ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গ্রেট লিডার। আমি তার নেতৃত্বে কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেছিলাম। তার সঙ্গে সবসময় শুরু থেকে আছি।

Leave a Reply