RANIGANJ-JAMURIA

রামপুরহাটের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রা পালের, বিধান সভা ভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ মার্চঃ বীরভূমের রামপুরহাটে বাড়িতে আগুন ( Birbhum Violence ) লেগে শিশু সহ ১০ মহিলার পুড়ে মারার ঘটনায় এনআইয়ের তদন্ত ( Demand of NIA Investigation ) দাবি করলেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী সকাল থেকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিধান সভা ভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক করেন। প্রথম বৈঠকটি হয় এদিন সকালে হয় রানিগঞ্জের আনন্দলোক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে রানিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বরের নেতাদের ডাকা হয়েছিলো। পরেরটি হয় বারাবনির দোমহানির একটি বেসরকারি হলে। সেই বৈঠকে ছিলেন বারাবনি ও জামুড়িয়া বিধানসভার নেতৃত্ব। এদিন বিকালে শেষ সাংগঠনিক বৈঠকটি হয় আসানসোলের ২নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এই বৈঠকে ডাকা হয়েছিলো আসানসোল ( দক্ষিণ) ও কুলটির নেতাদের।


এই বৈঠকগুলিতে প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য, রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি দিলীপ দে, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অন্যরা। তিনটি সাংগঠনিক বৈঠক থেকে দলের নেতাদের নির্বাচনী রণকৌশল বোঝানো হয়। কি ভাবে প্রচার করতে হবে, তাও বলে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে বিজেপি প্রার্থী তার মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। সকাল এগারোটার সময় আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে মিছিল হবে।


পরে বিজেপি প্রার্থী বলেন, এই মুহুর্তে বাংলায় কোন গণতন্ত্র নেই। স্বৈরতন্ত্র চলছে। বাংলায় কোন মানুষের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা একবারে ভেঙে পড়েছে। সোমবার রাতে রামপুরহাটে তৃনমুল কংগ্রেসের উপপ্রধান এক সংখ্যালগু নেতাকে বোমা মেরে খুন করা হলো। তারপর ঐ গ্রামে পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো মহিলা ও শিশু সহ দশজনকে। এরপরেও ঐ জেলার শাসক দলের জেলা সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভাই ” কেষ্ট ” বললেন টিভিতে শট সার্কিট হয়ে বাড়িতে আগুন লেগেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেইছেন, তার ঐ ভাইয়ের মাথায় অক্সিজেন কম যায়।

advertisement


রাজ্য বিজেপি নেত্রী রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের আক্রমন করে বলেন, রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি দিয়ে কিছু হবেনা। এরা তৃনমুল কংগ্রেসের দলদাস। অবিলম্বে এই ঘটনায় এআইএ তদন্ত করতে হবে। তবেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। রাজ্য পুলিশ ও সিআইডির উপর আমাদের কোন ভরসা নেই। তিনি বলেন, আনিস খান কান্ডে কি হচ্ছে গোটা বাংলার মানুষেরা জানেন। বাইরে থেকে বাংলায় অস্ত্র ঢুকছে। কাউন্সিলরদের গুলি করে মারা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে কলকাতায় দুটি ঘটনা ঘটলো। আর রাজ্যের এক মন্ত্রী কি বললেন, দু/একটা ঘটনা ঘটতেই পারে। এমন ঘটনা না ঘটলে, পুলিশ ও আদালত থাকবে না। এই তো বাংলার অবস্থা।

Leave a Reply