ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

Illegal Arms Factory : উদ্ধার লেদ মেশিন, ১২ টি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন সামগ্রী, ধৃত ৩, বাড়ি মালিককে আটক

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ মার্চঃ ( Illegal Arms Factory )আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। কুলটি, বার্ণপুরের পর এবার বারাবনি বিধান সভার সালানপুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস মিলছে সালানপুর থানার রুপনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত চিতলডাঙার উপর পাড়া এলাকায়। পুলিশ কারখানা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বলে এদিন সন্ধ্যায় জানান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মুদি। ধৃতরা হলো রাজকুমার চৌধুরী, প্রবীন কুমার ও মহঃ ইকবাল। তাদের বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার কোতোয়ালি থানার হাজি সুবন গ্রামে। কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ টি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র, লেদ মেশিন সহ অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম ও কাঁচামাল। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী বাড়ির মালিক দীনেশ চৌধুরীকে। ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হবে। তিনজনকেই হেফাজতে নিতে আদালতে পুলিশ আবেদন করবে বলে জানা।

Illegal Arms Factory


জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ যখন এদিন দুপুরে সেখানে হানা দেয়, তখন ধৃতরা কারখানার ভেতরে অস্ত্র তৈরী করছিলো।
পুলিশ জানতে পারে যে, সালানপুর থানার রুপনারায়নপুরের চিতলডাঙ্গার উপর পাড়ায় রেল কর্মী দীনেশ চৌধুরী বড় লোহার গেট লাগানো বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেশ কয়েকজন অন্য রাজ্যের লোক উঠেছে। সেখানে নাকি বেআইনি অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। এদিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রুপনারায়নপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেই বাড়িটি থেকে অস্ত্র তৈরীর লেদ মেশিন অন্যান্য যন্ত্রাংশ আটক করে। একটি মোটরসাইকেলও আটক করা হয় এই বাড়িটি থেকে। স্থানীয় সুত্রে পুলিশ আরো জানতে পারে এই বাড়ির মালিক চিত্তরঞ্জনে থাকে। তার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল । কিন্তু বাড়িটি মাঝেমধ্যেই বন্ধ পাওয়া যেত। গত কয়েকদিন ধরে বাড়িটি খোলা হয়েছিল।


এই প্রসঙ্গে ডিসিপি ( পশ্চিম) আরো বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে মুঙ্গেরের বাসিন্দা রাজকুমার চৌধুরী রেল কর্মী দীনেশ চৌধুরীর কাছ থেকে এই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলো। সে এখানে পরে লেদ মেশিন সহ অন্য যন্ত্রাংশ আনে। সেই অস্ত্র তৈরীর জন্য কাঁচামাল নিয়ে আসতো। প্রবীণ কুমার ও মহঃ ইকবালের মতো কারিগর মুঙ্গের থেকে এই কারখানায় এনে অস্ত্র তৈরী করতো। পরে সেই অস্ত্র বিহারের বাসিন্দা নবীন কুমারকে দিতো বিক্রি করার জন্য। এখনো পর্যন্ত কতগুলো আগ্নেয়াস্ত্র এই কারখানায় তৈরী হয়ে বিক্রির জন্য গেছে, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বাড়ির মালিকের সঙ্গে এই কারখানার কোন সম্পর্ক আছে কিনা, তা জানার জন্য তাকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।


( Illegal Arms Factory ) এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা জানতাম এই বাড়িতে নাটবল্টু তৈরি হত। কিন্তু এদিন পুলিশ আসতেই এলাকাবাসীরা হতবাক হয়ে যান। তারা জানতে পারেন ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র বানানো হচ্ছিল। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আগেই অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এরকম একটি কারখানার হদিশ মেলায়।

read also : Breaking : অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ, চার দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার

Leave a Reply