প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশকে বিক্রি করছে : শত্রুঘন সিনহা
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- আসানসোল লোকসভার উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুলটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুক্রবারে বরাকর বাস স্ট্যান্ড এ এক নির্বাচনী কর্মী সভার আয়োজন করা হলো । উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘন সিনহা সঙ্গে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তর মন্ত্রী মলয় ঘটক , সঙ্গে বিধান উপাধ্যায় সভাপতি পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি তথা মহানাগরিক আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশন! তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসে রাজ্য সহ সভাপতি উজ্জ্বল চ্যাটার্জী সহ কুলটি বিধানসভার তৃনমুল নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা।




বৃহস্পতিবার সান্ধ্যকালীন সভায় তোপ দাগলেন চিত্রাভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তার দাবি রাজনীতি আমার পেশা নয় আমি রাজনীতিতে এসেছি শুধুমাত্র মানুষের সেবা করার জন্য মেওয়া খেতে নয়। কেন্দ্রের মোদি সরকার একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কে বিক্রি করে সবকটি সংস্থাকে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে আর এর মারফত দেশের প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশকে বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবার বিকেলেখনি অঞ্চল রানীগঞ্জের জে কে নগর এলাকায় এমনই কড়া ভাষায় কটাক্ষের সুরে বিধল চিত্রতারকা তথা লোকসভা উপনির্বাচনের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
বৃহস্পতিবার আসানসোল দক্ষিণ গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসন্ন লোকসভা উপনির্বাচনের তৃণমূলকে ভোটদানের আবেদন জানিয়ে কর্মীসভার আয়োজন করা হলো জে কে নগর এর বালকো কমিউনিটি সেন্টার ময়দানে। এদিনের এই সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি, পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া, তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেব নারায়ন দাস, জেমেরি অঞ্চল সভাপতি তপন মুখার্জি প্রমূখ কে। বৃহস্পতিবার ব্যাপক সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকরা এই কর্মীসভায় হাজির হয়ে তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা কে পুষ্পস্তবক দিয়ে বিশাল আয়তন মালা পরিয়ে বরণ করে নেন তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এই কর্মীসভায় নেতা মন্ত্রীদের পর কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন চিত্রতারকা ওই তৃণমূল প্রার্থী, তার কথায় সমগ্র অঞ্চলকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার একটির পর একটি কলকারখানা বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে চলেছে অথচ এক সময় জাতীয়করণের লক্ষ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমস্ত কয়লাখনি কে রাতারাতি সরকারিকরণ করেছিলেন, তারপর মানুষ সরকারি উদ্যোগে কয়লা উত্তোলন করে কয়লা শিল্পে প্রসার ঘটিয়েছে, আর দেশের সেই বৃহত্তর শিল্প কে ধুয়ে মুছে সাফ করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার বলেই দাবি করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা তার বক্তব্যে।