চিত্তরঞ্জনে সদ্যবিবাহিতা মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, আটক স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র, সালানপুর: শনিবার সকালে সকালে সদ্যবিবাহিতা এক স্ত্রী গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো চিত্তরঞ্জন রেল আবাসনে। জানা গেছে মৃত ওই গৃহবধূর নাম নিশা কুমারি (২১)।গত নভেম্বর মাসে তার বিয়ে হয়েছিল চিত্তরঞ্জনের আমলাদহীর বাসিন্দা রেলকর্মী প্রেম নাথ দুবের ছেলে রাকেশ কুমার দুবের সঙ্গে। রাকেশ কুমারের রুপনারায়ণপুরের চিতলডাঙ্গায় একটি জলের কারখানা আছে বলে জানা গেছে।
এদিন সকাল আটটা নাগাদ নিশা দেবীর দেহ বাথরুমে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার পরিবারের লোকেরা দেখতে পান। সে যথেষ্ট লম্বা হওয়ায় বাথরুমে গলায় দড়ি দেওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় ।খবর পেয়ে পুলিশ যখন সেখানে যায় তার আগেই দেহ নামানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। প্রতিবেশীরা জানান রাকেশের এটা দ্বিতীয় বিবাহ ।এর আগের পক্ষের স্ত্রী চার বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন । প্রথম পক্ষের একটি কন্যা সন্তানও আছে। একই ব্যক্তির পরপর এই দুটি ঘটনায় প্রতিবেশীরাও রীতিমতো সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
এদিকে নিশা দেবীর পরিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিহারের লক্ষ্মীসরাই থেকে চিত্তরঞ্জন থানায় এসে পৌঁছন। তার মামা সনু কুমার অভিযোগ করে বলেন নিশার বাবা নেই। মা অসুস্থ হয়ে গ্রামে আছেন। আমি এবং ওর দাদু সহ আমরা এসেছি। বিয়ের সময় ওর বাড়ি থেকে জানানো হয়নি যে ওর প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে এবং তার একটি বছর পাঁচেকের কন্যা আছে। অষ্টমঙ্গলায় এসে আমাদের বাড়ির মেয়ে সে কথা জানতে পারে। প্রায়ই ওকে টাকার জন্য চাপ দেয়া হতো। একটি সোনার চেন এবং বেশ কিছু টাকা তার কাছে আবার দাবি করা হয়েছিল শশুর বাড়ি থেকে। আমরা মনে করছি সেই টাকা ও সোনার চেন না দেওয়ায় ওকে খুন করা হয়েছে। মৃতার স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি, তার ননদ এবং আরো এক আত্মীয়র বিরুদ্ধে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে ।চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ মৃতার স্বামী শশুর এবং শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।