ASANSOLKULTI-BARAKAR

অনুব্রত মন্ডল হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্যাস দিয়ে ফোলানো বেলুন ডাকাডাকি না করে এদের জেলে ঢোকানো উচিত : শুভেন্দু অধিকারী

আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন তিনটি বিধান সভায় কর্মী সভা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৯ মার্চঃ ( Suvendu Adhikari In Asansol ) ডাকাডাকি না করে, এদেরকে জেলে ঢোকনো উচিত উচিটা বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার বিকালে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন উপলক্ষে কর্মী সভা করতে আসানসোলে আসেন তিনি। প্রথমে তিনি বারাবনিতে একটি কর্মী সভা করেন। পরে তিনি যান কুলটিতে। সেখানে কর্মী সভা করার ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন , কয়লা ও গরু পাচার মামলায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইডি ও সিবিআইয়ের নোটিশ দিয়ে ডাকাডাকি না করে সরাসরি ঢোকানো উচিত।

হাইকোর্টের রায় বা তদন্ত করা এজেন্সির কাজ নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ আমি একটা রাজনৈতিক দলের কর্মী। অনুব্রত মন্ডল হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্যাস দিয়ে ফোলানো একটা গ্যাস বেলুন। তদন্তকারী সংস্থা তার ফোন কলের ডিটেইলস বার করলেই বুঝতে পারবে রামপুরহাটের ঘটনার মাস্টার মাইন্ড হলো ও। ঐ লোক গোটা বীরভূমটাকে জতুগৃহ করে রেখেছে।
এদিনের কর্মী সভায় নিজের ফোন নম্বর কর্মীদের দিয়ে আশ্বস্ত করে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শুধু ১২ এপ্রিল ভোটের দিন বা ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত নয়। তারপরেও যদি কেউ কোথাও কোন ভাবে আক্রান্ত হন তাহলে আমাকে ফোনে জানাবেন। আমরা দলের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।


সন্ধ্যায় কুলটির ডিশেরগড়ে আরেকটি সভায় শুভেন্দু অধিকারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি নির্বাচনি বুথে পোলিং এজেন্টদের বসতে হবে। কোনও অবস্থাতেই বুথ ছেড়ে যাওয়া চলবে না ।তিনি বলেন, ২ মে র পর যে ভাবে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন , অনেকেই বাড়িছাড়া হয়েছিলেন। আর তার পুনরাবৃত্তি হবে না। আমরা চেষ্টা করছি ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ব্যবস্থা করতে। গোটা এলাকার উপরেই আমাদের নজর থাকছে। কর্মীদের উৎসাহিত করতে তিনি আরো বলেন, বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বিধায়ক হিসেবে আমরা যেমন লড়াই করছি, তেমনই একদম গ্রাম ও শহরের শেষ এলাকা পর্যন্ত আপনাদেরও কিন্তু লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আবার আসানসোল কেন্দ্র জিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরকে উপহার দিতে হবে। এদিন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভায় আরো একটি কর্মী সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply