ASANSOL

Anubrata Mondal : আনারুল শেখ নিয়ে মুখ খুললেন, চিঠি ফাঁস নিয়ে দল তদন্ত করবে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ মার্চঃ তাকে লেখা ব্লক সভাপতি আনারুল শেখ নিয়ে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অধ্যাপক আশীষ বন্দোপাধ্যায়ের চিঠি ফাঁস হওয়ার ঘটনা নিয়ে দল তদন্ত করবে দল। আসানসোলে জানালেন বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী কর্মসূচি শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, রামপুরহাট থেকে আনারুলকে নিয়ে যে চিঠি ফাঁস হয়েছে তার অবশ্যই তদন্ত হবে।

তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বগটুই কান্ড নিয়ে বলেছেন, এখানে একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ কি চিঠি ফাঁস হওয়া ? তিনি বলেন শতকরা একশভাগ এটা সত্যি। দলের অভ্যন্তরে তদন্ত করলে বোঝা যাবে তাকে আমি কেন আনারুলকে চাইছিলাম না। এর উত্তরে তিনি বলেন, আনারুল হল এমন নেতা যে নিজের ব্লকে নির্বাচনে হারে। তার সেই রকম কোন সংগঠন নেই। এই কারণে আমি তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গত বছরই বলেছিলাম ।


কিন্তুআমাকে রামপুরহাটের বিধায়ক অধ্যাপক আশীষ বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত আনারুলকে রেখে দেওয়া হোক। আমি তার উত্তরে বলেছিলাম তাহলে আমাকে লিখিত দিতে হবে। আশীস বন্দোপাধ্যায় সে কথা সুপারিশ আকারে গত বছর ১০ জুন লিখে আমাকে দিয়েছিলেন। সেই মতোই তাকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য দায়ী কি তাহলে আশীস বাবু? তার উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত বলেন , একবারেই না। আশীষ বাবু অধ্যাপক মানুষ। কারোর সঙ্গে কোনকিছুতে থাকেন না। উনি একজন ভাল লোক। তবে এই চিঠি আমিও ফাঁস করিনি। আশীষবাবুও করেননি। কিন্তু আশীস বাবুকে এত গুরুত্ব দিলেন কেন? এই এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি যখন দলের জেলা সভাপতি উনি তখন দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাছাড়া উনি একজন অধ্যাপক মানুষ। সেই জন্যেই এতটা গুরুত্ব দিয়েছিলাম। রেখে দিয়েছিলাম আনারুলকে। তাকে রাখার ক্ষেত্রে আপনি কি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এইটা ঠিক প্রশ্ন নয়।
এদিন বীরভূমের জেলা সভাপতি রবীন্দ্র ভবনে দলের এক কর্মী সভায় দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার জন্য ভোট চাইতে আসানসোলের আশা ও আইসিডিএস কর্মী এবং সেল্ফ হেল্প গ্রুপ বা স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর সদস্যদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি বলেন, আপনারা মা ও বোনেরা গিয়ে বললে, সবাই শুনবে। মনে রাখবেন এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। আমরা আসানসোলে একবারও জিতিনি। শত্রুঘ্ন সিনহা ভালো পার্লামেন্টিয়ান। তিনি সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখের ওপর বলতে পারবেন। এদিনের সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *