কেন্দ্রের সরকার গরিব মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নিচ্ছে : পার্থ মুখোপাধ্যায়
কাজী নজরুলের জন্মভূমি চুরুলিয়ায় কবির মূর্তিতে মাল্যদান করে এবং প্রমীলা দেবীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচার
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য : কাজী নজরুলের জন্মভূমি চুরুলিয়ায় কবির মূর্তিতে মাল্যদান করে এবং প্রমীলা দেবীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে চুরুলিয়াতে সোমবার বিকেলে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের সি পি এম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। নির্বাচন ঘোষণার দুদিন পর থেকেই তিনি প্রধানত কয়লা খনি এলাকা, গ্রামে-গঞ্জে প্রচারে নেমেছেন।চুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল লিখেছিলেন মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান । ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতা যারা ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এই চুরুলিয়া থেকেই বলতে চাই বামপন্থীরা সমস্ত ভাষা, ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষের সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে।




কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার কথাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন কেন্দ্রের সরকার গরিব মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নিচ্ছে, গ্যাস পেট্রোল ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি। শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ ও গেরুয়া করুন করছে ।একের পর এক কল কারখানা বন্ধ করছে, বিক্রি করছে।পুঁজিপতিদের হাতে সেগুলো তুলে দিচ্ছে ।এবারের ভোটে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই সরকারের জনবিরোধী বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে খেটে খাওয়া মজুর ,শ্রমিক ,মেহনতি মানুষ ,কর্মচুত মানুষ ,বেকার যুবক যুবতীরা, ছাত্র-ছাত্রী ও ঘরের গৃহিণীরা আসন্ন ভোটে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ভোট বাক্সে ভোট টা দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
পার্থবাবু বলেন আমি একের পর এক কোলিয়ারি খনি এলাকায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেখেছি মানুষ বিজেপির শ্রমিক বিরোধী নীতি এবং তৃণমূলের কাজ না দিতে পারার নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ,চূড়ান্ত আইন শৃংখলার অবনতিকে মাথায় রেখে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে । রবিবার চিচুড়িয়া তে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। এক বৃদ্ধ যিনি এক চোখে দেখতে পান আর এক বৃদ্ধা দুজনেই হেসে বললেন আমাদের যেটুকু সঞ্চয় ব্যাংকে রেখেছিলাম তাতে ব্যাংকগুলোই থাকবে না বলে শুনছি ।আর সুদ কমতে কমতে খুব খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। জানিনা কিভাবে বাঁচব । মাত্র দু’দিন আগেই চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা গিয়েছিলাম ।সেখানকার শ্রমিকদের উদ্বেগ ও চোখে মুখে আতঙ্ক দেখলাম। কয়েক বছরে এখানে কর্মীসংখ্যা ৮০০০ কমেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর সহ একাধিক ধস কবলিত এলাকায় দেখলাম মানুষ এখনো আতঙ্কে তাদের পুনর্বাসনের কিছুই হয়নি ।
তিনি বলেন করোনার সময় মানুষ দেখেছে একমাত্র বামপন্থী রেড ভলেন্টিয়ার্স কর্মীরা তাদের পাশে কিভাবে থেকেছে। গাড়িতে নয় দিনে অন্তত ১২থেকে ১৬ কিলোমিটার হেঁটে গ্রাম গঞ্জ শহর এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছি। এই কদিনেই সাতটি বিধানসভার ব্যাপক অংশেআমি নিজে প্রচার করতে পেরেছি। রাতে যদি এর জন্য পায়ের যন্ত্রণা ও কখনো হয় তখন যেভাবে তৃণমূল এবং বিজিপির নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ আমার কাছে ছুটে আসছেন তাদের মুখ গুলো ভেসে ওঠে তখন তাই দেখে সমস্ত যন্ত্রনা লাঘব হয়ে যায় ।এর পাশাপাশি অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার চলছে।