ASANSOL

পাথর খাদানের জলে তলিয়ে গেল দুই যুবক

স্নান করতে নেমে সাড়ে ৩০০ ফুট, উদ্ধারে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দল

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ স্নান করতে নেমে সাড়ে ৩০০ ফুট গভীর পাথর খাদানের জলে তলিয়ে গেল দুই যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার আসানসোল পুরনিগমের ১৫ নং ওয়ার্ডের কেডি সিং কোলিয়ারি এলাকায়। খবর পেয়ে বিকেলের পরে দুই যুবকের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসেন। আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। পরে আসে রেফ। আনা হয় জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের উদ্ধারকারী দলকে।

কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় এলাকার আলো কমে যায়। তাই অতো গভীর পাথর খাদানে নেমে তলিয়ে যাওয়া দুই যুবকের খোঁজ করতে সমস্যা হয়। আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধার কাজ করা হবে কিনা তা নিয়ে পুলিশ ভাবনা চিন্তা করছে। পাশাপাশি এতো গভীর পাথর খাদানে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী দল নেমে তল্লাশি করতে পারবে কি না, তাও প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিশেষ ডুবুরি দলকেও ডাকা হতে পারে। তলিয়ে যাওয়া দুই যুবকের নাম হলো আসানসোল দক্ষিণ থানার হটন রোডের ইসলামপুরের মহঃ বরকাতুল্লা আনসারি (১৯) ও বুধার মহঃ ফারহান ( ১৭)।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুরের মহঃ বরকতুল্লা বৃহস্পতিবার দুপুরে টোটো করে মহঃ ফারহান সহ আরো ৫ জনকে নিয়ে আসানসোল উত্তর থানার কেডি সিং কোলিয়ারি এলাকায় আসে। সেখানে তারা একটি পাথর খাদানের জলে স্নান করতে নামে। কিন্তু আচমকাই বরকাতুল্লা ও ফারহান সাড়ে ৩০০ ফুট গভীর পাথর খাদানের জলে তলিয়ে যায়। তা দেখে অন্য ৫ জন এলাকা ছেড়ে চলে আসে ও দুজনের বাড়ির লোকেদের সেই খবর দেয়। বিকেলের পরে দুই যুবকের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

খবর পেয়ে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের মহিলা সদস্যরা এলাকায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বরকাতুল্লার বাবা পেশায় টোটো চালক মহঃ সইফতু্ল্লা বলেন, ছেলে যে বন্ধুদের নিয়ে এখানে স্নান করতে এসেছে তা জানতাম না। পরে খবর পেয়ে এসেছি। কি করে এমন ঘটনা ঘটলো তা বুঝতে পারছি না।
পুলিশ জানায়, কি ভাবে যুবকদের তল্লাশি করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। প্রয়োজনে ডুবুরি দলকেও ডাকা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *