ASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুরে জল নেওয়া নিয়ে বচসা, তলোয়ার নিয়ে হামলা, কাটা গেলো তিনটি আঙুল

বেঙ্গল মিরর,.রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ ( Asansol Burnpur News ) জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে এক যুবকের হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে দিলো এলাকারই এক প্রতিবেশী যুবক। গোটা ঘটনার জেরে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নবঘন্টির কীর্তন মাঠ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আহত যুবকের নাম মনীশ যাদব (২৫)। অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক মহীন্দ্র যাদব ওরফে ফল্লুকে হিরাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ ছেলের হাতের কাটা আঙ্গুল নিয়ে বিচার চাইতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবকের বাবা রবীন্দ্রনাথ যাদব। আক্রান্ত যুবক তৃণমূল কংগ্রেসের ও ধৃত যুবক বিজেপির সমর্থক বলে জানা গেছে। তবে আক্রান্ত হওয়া যুবকের বাবা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই।


জানা গেছে, হিরাপুর থানার নবঘন্টির কীর্তন মাঠ এলাকার যুবক মনীশ যাদবের পাড়ায় একটি চায়ের দোকান আছে। তার বাবা রবীন্দ্রনাথ যাদব বৃহস্পতিবার বলেন, বুধবার দুপুরবেলা তাদের পাড়ায় জলের একটি ট্যাঙ্কার এসে ছিল জল সরবরাহ করতে। সেই সময় ছেলে মনীশ যাদব ও প্রতিবেশী মহেন্দ্রর যাদবের মধ্যে বচসা হয়। তখনকার মতো এলাকার বাসিন্দারা সাহায্যে মিটে যায়। এরপর মনীশ ঐদিন রাতে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস থেকে টিভিতে আইপিএলের খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলো। তখনই তলোয়ার নিয়ে তার মাথায় ও হাতে আঘাত করে মহেন্দ্রর যাদব। খবর পেয়ে আমি ও প্রতিবেশীরা সবাই ছুটে আসি। সবাই মিলে তলোয়ার সহ মহেন্দ্ররকে আটক করে।

খবর পেয়ে পুলিশ এলে পুলিশের হাতে মহেন্দ্ররকে তুলে দেওয়া হয়। ছেলেকে বার্ণপুরের ইস্কোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ওর ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে যায়। মাথা ফেটেছে। রবীন্দ্রনাথ যাদব ছেলের ঐ আঙ্গুলগুলি প্লাস্টিকের করে নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, এখানে এগুলোতো জোড়া লাগানো যাবেনা। তারপর তিনি পুলিশের কাছে আবেদন করেন আমার ছেলের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে । আঙ্গুল গুলো দেখিয়ে পুলিশকে তিনি বলেন আমার ছেলের ভবিষ্যৎ তো নষ্ট হয়ে গেল। শুধু ওকে গ্রেফতার করলেই হবে না, ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

অন্যদিকে, হিরাপুর থানার পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই সেটা ওর বাবাই জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের ঐ এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ভরত দাসও পুলিশের সুরে একই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।

Leave a Reply