ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের চাপুইয়ে দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকা কাকা শশুর ও জামাইয়ের দেহ উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ( Asansol Raniganj News Today )  দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকা কাকা শশুর ও জামাইয়ের দেহ বৃহস্পতিবার উদ্ধার হলো রানীগঞ্জের নিমচা ফাড়ি এলাকার জেমেরি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাপুই দু’নম্বর বালু ব্যাংকার সংলগ্ন এক ধসে যাওয়া গর্তের নর্দমায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ স্থানীয় এলাকার মানুষজনদের কাছে ওই দুই ব্যক্তির মৃতদেহ গর্তে পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে।

परित्यक्त खदान में 2 शव

ঘটনা প্রসঙ্গে জানাযায় বছর একুশের রাকেশ কুমার রাউত ও তারই কাকা শশুর বছর 41 বিপো ভূইয়া মঙ্গলবার পৃথক পৃথক সময়ে বাড়ির সদস্যদের পৃথক পৃথক কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও বুধবার তারা বাড়ি ফিরে না আসায় তাদের পরিবারের সদস্যরা বিস্তর তল্লাশি করে বুধবারই রানীগঞ্জ থানা নিমচা ফাড়ি এলাকায় 1 নিখোঁজ ডায়েরি করার পর বৃহস্পতিবার ওই দুই ব্যক্তি পচা গলা দেহ মেলার খবর পায় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে তারা ওই দুজন ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে। বৃহস্পতিবার পুলিশ মৃত ওই দুই ব্যক্তি কে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানা গেছে পুলিশ প্রশাসন সূত্রে।

তবে তাদের পরিবারের উভয় মৃত ব্যক্তির স্ত্রীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন ওই দুই ব্যক্তিকে কেউ বা কারা হত্যা করে সেখানে ফেলে গেছেন। যদিও এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি নিমচা ফাড়িতে বলে জানা গেছে, মৃতদের পরিজনদের দাবি তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন যেদিন তারা সঙ্গে নিয়ে গেছিল সেদিন তা বেজে ওঠার পর মঙ্গলবার ফের সেই মোবাইল ফোন বেজে ওঠার পর বন্ধ হয়ে যায়, বৃহস্পতিবার ফের কেন বন্ধ থাকা ফোন আরো একবার বেজে ওঠে তা নিয়েই তারা সংবিধান, মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের দাবি মোবাইল ফোন কিভাবে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর পর বেজে উঠেছে ও তা আবার কেন বন্ধ হয়েছে তা নিয়েই তারা সন্দিহান তাদের ধারনা ওই দুই ব্যক্তিকে কেউ বা কারা চক্রান্ত করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার এমনই সব দাবি করে তারা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানায়। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে তারা ঘটনাটি হত্যার ঘটনা বলে দাবি করলেও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তারা এই হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট করেনি বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার এই মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন সমগ্র ঘটনাটিকেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঘটনাটি আদৌ কি ঘটেছে তা ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে, তাদের দাবি সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জানা গেছে এ দিন ওই মৃতদেহ পাশ থেকে বেশকিছু দেশী বিদেশী মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় পাশাপাশি গাজা খাওয়ার কল্কি পড়েছিল ওই দেহের পাশে বলে জানা গেছে ওই দুই ব্যক্তি আদেও কিভাবে মৃত্যু হলো তা অবশ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে বলে দাবি করেছেন সকলে। বৃহস্পতিবার এই রহস্যময় মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল সমস্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply