West Bengal

দুর্গাপুর থেকে ফেরার পথে অনুব্রতর দেহরক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত, দেহরক্ষীর কন্যা–সহ দু’‌জনের মৃত্যু

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বীরভূমের ইলামবাজারে পথ দুর্ঘটনার কবলে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি। পণ্যবোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কন্যা–সহ দু’‌জনের। গাড়িচালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। নিহত তরুণী অনুব্রতর দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের মেয়ে। একই সঙ্গে এ দুর্ঘটনা নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। কারণ পশু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার মুখেও পড়েছিলেন সেহগাল।

মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর থেকে একটি গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সেহগাল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানা এলাকায়। দুর্ঘটনায় সেহগালের ছয় বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়। গাড়িতে থাকা আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ. কিন্তু এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ-প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে সেহগালের মেয়ের সঙ্গে মাধব নামে এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় মারা যান। সেহগালের গাড়ির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সেহগাল তার কন্যা এবং আরও কয়েকজনকে নিয়ে দুটি গাড়িতে দুর্গাপুর থেকে বীরভূমের দিকে ফিরছিলেন। ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি বনাঞ্চলে তার একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রাখা একটি ডাম্পারকে ধাক্কা দেয়। তবে, সেহগাল গাড়ির পিছনে থাকায় একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান। প্রাথমিকভাবে বলা হয়, তার প্রাণহানির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে তার গাড়ির চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ওই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বও আলোচনায় আসে। কারণ, আহত সেহগাল নিজেই অনুব্রতর দেহরক্ষী। পশু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি এখনও সিবিআই অফিসে হাজির হননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। এর আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সেহগালকে সিবিআই তদন্তের মুখে পড়তে হয়। এরপর দুর্ঘটনাটি কাকতালীয় নাকি এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা।

Leave a Reply