West Bengal

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ : আইজি ও ডিআইজিদের থানায় যেতে হবে২১ থেকে ৩১মে দুয়ারে সরকার, ২ মে থেকে গরমের ছুটি

যারাই দুর্নীতিতে জড়িত, ব্যবস্থা নিন,পুলিশের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পাড়ায় পাড়ায় সমাধান ৫ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি বালি খনন, গাছ কাটা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন, দুর্নীতি হলে কাউকে রেয়াত করা হবেনা । সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেআইনি বালি উত্তোলন, গাছ কাটার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দেখার দরকার নেই। সঠিক তথ্য পেলেই ব্যবস্থা নিন। কোনো বড় নেতাও যদি দুর্নীতি করে থাকেন তাহলে ব্যবস্থা নিন। এটা জনগণের সরকার। এসব হবে না। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজ্য। পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনল রাজ্য সরকার। ২ মে থেকে গরমের ছুটি । নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী.

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আইজি এবং ডিআইজিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইজি ও ডিআইজিদের থানায় যেতে হবে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রায়শই মিথ্যা এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। কে সঠিক আর কে ভুল, তা খতিয়ে দেখা উচিত। যথাসময়ে চার্জশিট জমা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারে। কমিউনিটি পুলিশিং এর উপর জোর দিতে হবে। নিয়মিত নাকা চেকিং চলবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রকৃত ঘটনার রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। সিপিএম এত নৃশংসতা করেছে। কিন্তু আমরা কয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি? কতজন বিজেপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে? আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নই, এখানে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযোগের অনুমতি নেই। এখানে কোনো ঘটনা ঘটলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।”

হাঁসখালির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাঁসখালির ঘটনা কীভাবে ঘটল? হাঁসখালীর ঘটনার খবর নেওয়া হয়নি কেন? পুলিশের গাফিলতির খেসারত কি সরকারকে বহন করতে হবে? পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক বক্তব্য পুলিশের কাছে। সিবিআইয়ের কাছে আরও একটি বিবৃতি দিয়েছে পরিবার।

এই ঘটনায় পুলিশকে কড়া তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এসপি রানাঘাটকে প্রশ্ন করেন, “কীভাবে হাঁসখালিতে ঘটনা ঘটল? খবরটা আগে শুনলে না কেন? আপনার কাছে কোনো সূত্র নেই? আপনার সামান্য অবহেলার জন্য সরকার কেন এটা সহ্য করবে? সরকার কিছু গোপন করতে চায় না। আমি ঘটনা আড়াল করতে চাই না। সরকার দোষী যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়। তিন-চার দিন লাগলো কেন? আর পরিবার কেন কোনো তথ্য দেয়নি?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি এসপি রানাঘাটকে বলেন, “অবহেলা আপনার।”
পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করা ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বারবার বলা হয়েছে যে পরিবারের বক্তব্যে অমিল রয়েছে। পুলিশের সামনেই ভিন্ন বক্তব্য। এদিকে সিবিআইকে অন্য বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। আইসিকে এর জন্য কি করা প্রয়োজন? যদি তিনি এটি সঠিকভাবে দেখতে না পান তবে কী হবে?” কিন্তু, আমরা বাংলায় হাতরাস বা উন্নাও হতে দিতে চাই না।

হাঁসখালির পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে বলেন, ” তোমার জন্য আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। যেকোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিলে এমনটা হতো না। তোমার কি সেরকম বুদ্ধি নেই? অনেক ভুল করেছেন। আমাদের সরকার এর জন্য মূল্য দিচ্ছে।”

Leave a Reply