ASANSOL

আসানসোলে দোকানদারের মশাল মিছিল, ফ্রেট করিডোরের জমির বিনিময়ে দোকানদারদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনের দাবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোলের কয়েকশো দোকানদার মশাল মিছিল বের করলেন, বললেন উন্নয়নের নামে বুলডোজার চলবে, রেলপার ডিপোপাড়া এলাকায় ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু সেখানে কয়েকশো দোকানদারের জীবিকা চালানোর ক্ষেত্রে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকশো দোকানদার মশাল মিছিল বের করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগে শনিবার আসানসোলের রেলপার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি দল মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণ পেতে সহযোগিতা চান।

আসানসোলে দোকানদারের মশাল মিছিল

ওইসব দোকানিরা বলছেন, তাদের দোকানগুলো রেলপাড় এলাকায়। সেখান থেকে রেলওয়ের গ্রেট করিডোর যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এসব জমিতে ব্যবসা করছেন। কী হবে ওই দোকানদারদের ভবিষৎ? সেই দোকানদাররা আজ মন্ত্রী মলয় ঘটকের সাথে দেখা করেন এবং রেল প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার উভয়ের কাছে তাদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখার এবং তাদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন। তারা বলেন, রেলের উন্নয়ন হোক কিন্তু দোকানিদের পেটে লাথি মারবেন না, এতে কয়েকশো পরিবারের সমস্যা হবে।

তারা বলেন, যে জমি দিয়ে রেলওয়ের গ্রেট করিডর যাবে ওই জমির মালিকরা রেলওয়ের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। ওই সময় সম্পাদক আশীষ চ্যাটার্জি, পার্থ আচার্য, বিনায়ক কৃষ্ণধর, জয়দেব গোস্বামী, রামকুমার আগরওয়াল, মহম্মদ শাকিল, শঙ্কর দত্ত, দাসু পাল, বাপ্পা সেন সহ এই সংগঠনের সমস্ত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সম্পাদক আশীষ চ্যাটার্জি জানান, গত ৮ বছর ধরে ফ্রেট করিডোর জমি আন্দোলন চলছে।

এখন তারা জানতে পেরেছেন, ২৯ তারিখের মধ্যে এই জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু রেলপারের ব্যবসায়ীদের কী হবে? তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় গণআত্মহত্যা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে তিনি এর আগে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে আবেদন করেন এবং তিনিও এই ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় তাদের সামনে সব রাস্তা বন্ধ। তিনি প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান, এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করুন, তা না হলে প্রায় দুশোর ওপর ব্যবসায়ীর জীবিকার কী হবে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *