আসানসোল ডিআরএম অফিসে বিক্ষোভ, রেলের স্কুল বন্ধ করার প্রতিবাদে ERMU, CITU এবং CLW LABOUR UNION
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : পশ্চিম বর্ধমান জেলা আসানসোল ডিভিশনের তরফে রেল স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের আন্দোলনের পাশাপাশি শনিবার ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন ( ERMU), সিটু(CITU) এবং সি এল ডব্লিউ লেবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলো । এদিন বিকেলে আসানসোল ডি আর এম কার্যালয়ের গেটের পাশেই ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুল এবং রেল পরিচালিত অন্যান্য স্কুলগুলি বন্ধ করার নির্দেশিকার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
ওই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ই আর এম ইউয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পিকে ঝা ও অনীল রায়, আসানসোল ২ এর ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি পি এন রাম , আসানসোল -১ এর ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি এস এন মিশ্র, দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি একে পান্ডে, পানাগড় ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি কৃষ্ণ সেনগুপ্ত, মধুপুর ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি বিকে মিশ্র ছাড়াও আরো অনেকে।পাশাপাশি সিটু (CITU) র সিএলডব্লিউ( CLW) লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত ও সভাপতি আর এস চৌহান উপস্থিত ছিলেন এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।
প্রতিবাদ সভার শেষে ডিআরএমের কাছে একটি স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
সিএলডব্লিউ( CLW) লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত রেল স্কুলগুলি বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন যে , “আসানসোল ইস্টার্ন রেল হাইস্কুল সহ অন্যান্য রেল স্কুলগুলির একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এই স্কুল এবং রেল পরিচালিত স্কুলগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত রীতিমতো তুঘলকি। সারাদেশেই কেন্দ্র সরকার বেসরকারীকরণের পথে হাঁটছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।”
আসানসোল ২ এর ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি পি এন রাম এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেন এই জনবিরোধী সিদ্ধান্ত কে রুখে দেওয়ার স্বার্থে সিটুর পক্ষ থেকে যা করার করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ রেল পরিচালিত স্কুলগুলো বন্ধের নির্দেশ জারি করার পর অভিভাবকদের মধ্যে রীতিমত ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ছাড়াও অন্যান্য দলের পক্ষ থেকেও রেল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
এদিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলেন, তারা কোনো অবস্থাতেই তাদের সন্তানদের এখান থেকে অন্য স্কুলে নিয়ে যাবেন না। এই স্কুলেই তারা ছেলেমেয়েদের পড়াবেন। রেল প্রশাসনের এই নির্দেশ তুঘলকি। হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলে খেলা করা হচ্ছে। বেসরকারি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।
শ্রমিক সংগঠনের দাবী গুলি হলো
১)ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
২) শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের নিযুক্তি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
৩) স্কুলের ক্লাস রুম গুলির পরিকাঠামো এবং শিক্ষার পরিবেশ বিশ্বমানের করতে হবে।
৪) শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ করা চলবেনা।
৫) শিক্ষা সবার জন্য বিনামূল্যে করতে হবে।
৬) ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের দিকে সর্বাঙ্গীন নজর দিতে হবে।
উল্লেখ্য আসানসোলের ডিআরএম পরমানন্দ শর্মা আগেই জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত রেল বোর্ডের।
This is a railway heritage school so the school should not be closed anyway P.M should see this .