India Power আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ট্রাফিক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দান করল বিশেষ সামগ্রী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বুধবার আসানসোলের বার্নপুর স্কব গেটের কাছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিক কার্যালয়ে “ইন্ডিয়া পাওয়ার” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক পরিকাঠামো উন্নতির জন্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করে। বুধবার, ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে (ADPC) ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম দান করে যাত্রীদের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের ট্র্যাফিক সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রণী ভূমিকা দেখিয়েছে। ইন্ডিয়া পাওয়ার সবসময় শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, রাস্তার নিরাপত্তার কথাও বলে। তাই, গ্রামীণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য CSR প্রকল্পের অধীনে, ইন্ডিয়া পাওয়ার ADPC-এর ট্রাফিক পরিকাঠামোর সুবিধার্থে ৫০ টি গার্ড রেল এবং ৫০ টি হ্যান্ড-হেল্ড সিগন্যাল চালু করেছে এবং অন-ডিউটি অফিসারদের প্রচণ্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা করার জন্য ১০০ টি ছাতা দান করেন।
ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের (IPCL) হোলটাইম ডিরেক্টর সোমেশ দাশগুপ্ত ও ভিপি টেকনিক্যাল
সুবীর দাস, ডিসিপি ট্রাফিক আনন্দ রায়ের কাছে সামগ্রী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম সমূহ হস্তান্তর করেন। ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের বার্নপুরে এসিপি ট্রাফিক দেবরাজ দাস। তার হাতেও হ্যান্ড-হেল্ড সিগন্যাল এবং ছাতা হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে পুলিশের ট্রাফিক দপ্তরের অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আইপিসিএলের হোলটাইম ডাইরেক্টর সোমেশ দাশগুপ্ত বলেন যে , “আমরা এর আগে এডিসিপি ট্রাফিক বিভাগকে গার্ড রেল এবং ড্রাম সরবরাহ করেছি এবং আমরা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি, কারণ আমরা মনে করি যে পথ নিরাপত্তার কোনো সীমা নেই এবং ট্রাফিকের এর পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার অর্থ মানবজাতির সেবা করা। এইবার আমরা গার্ড রেল এবং হ্যান্ড হেল্ড সিগনাল দান করেছি এবং ডিডিটিরত আধিকারিকরা যাতে সুস্থভাবে কাজ করতে পারেন তার জন্য ছাতার প্রয়োজনের কথা বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হলে, আমরা সক্রিয়ভাবে এটির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও আমরা এক্সপেন্স শেয়ারিং মডেলের ( Expense Sharing Model) মাধ্যমে বরাকর সাব ট্রাফিক গার্ড ভবনের সংস্কার ও পুনর্গঠনে সহায়তা প্রদান করছি। ইন্ডিয়া পাওয়ার সবসময়ই CSR(Corporate Social Responsibilities) এর অধীন নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করেও সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের ভূমিকা দেখিয়েছে এবং যতটা সম্ভব মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”