মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান পাওয়া আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সৈকত গাঙ্গুলি ডাক্তার হতে চায়
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ( Asansol Local News Today Live ) আসানসোলের সৈকত কুমার গাঙ্গুলী এবারের মাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া সৈকতের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। বিষয় ভিত্তিক তার নম্বর এই রকম বাংলা ৯৭, ইংরেজি ৯৮, অংক ১০০, ভৌত বিজ্ঞান ১০০, জীন বিঞ্জান ৯৭, ইতিহাস ৯৬ ও ভুগোল ১০০।
আসানসোলের সুগম পার্কের বাসিন্দা সৈকতের স্বপ্ন ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করা। আর তার এই স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী বাবা। যিনি পেশায় একজন রেল ইঞ্জিনিয়ার। বাবা তাপস গাঙ্গুলী ও মা পিয়া গাঙ্গুলী ছেলের এই রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত। গাঙ্গুলি দম্পতি বলেন, ছেলে এত ভালো ফল ভাবিনি। ছেলের সঙ্গে সবসময় আছি।
এদিন সকালে যখন পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোচ্ছে তখন সৈকত টিভির সামনে ছিলোনা। সে বলে, বাবা টিভি দেখে বলে আমি ষষ্ঠ স্থান পেয়েছি। বিশ্বাস হচ্ছিলো না। তারপর স্কুলের শিক্ষকরা ফোন করে বলে। তখন বিশ্বাস করি। এত ভালো রেজাল্ট বা এইরকম রেঙ্ক করবো ভাবিনি। ভেবেছিলাম ৬৮০ পাবো।
সৈকতের দুজন গৃহ শিক্ষক ছিলো। তার মতে, কতক্ষণ পড়ছি বা কত ঘন্টা পড়ছি সেটা বড় কথা নয়। পড়াশোনাটা নিজের মতো করে পড়তে হবে। তাহলেই হবে। সে বলে, আমি ঐ ঘন্টা ধরে পড়তাম না। কিন্তু যতক্ষণ পড়তাম, সেটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়তাম। ইচ্ছে, এরপর মেডিকেল লাইনে যাবো আর চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবো। বর্তমানে অনলাইন না অফলাইনে পরীক্ষা হবে এই নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান পাওয়া সৈকতের মতে, কিসে পরীক্ষা হবে সেটা আমি কেন দেখবো? সেটা তো আমার দেখার কথা নয়৷ আমি পড়াশোনা করবো। আর পরীক্ষার সময় তা দেবো। পড়াশোনার ফাঁকে সৈকত টিভি দেখতে ভালোবাসে। তার প্রিয় খেলা ক্রিকেট।
সৈকতের সাফল্য খুশি আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা।
সৈকতের স্কুল থেকে ১০৮ জন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলো। সৈকত সহ সবাই পাশ করেছে। তারমধ্যে ৪৩ জন ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। সৈকত কুমার গাঙ্গুলির বাবা তাপস কুমার গাঙ্গুলি সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে , পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে মেকানিকাল বিভাগে কর্মরত। আসানসোলের ডিআরএম পরমানন্দ শর্মা সৈকত কুমার গাঙ্গুলী ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।