ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমান বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের একদিনের আয়ে প্রথম

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারের একদিনের আয়ের পরিমানে প্রথম স্থান অধিকার করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাংলা এবং ছোট ছোট শহরের মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকারের ব্লক বা বিডিও দপ্তর ,জেলা প্রশাসনের দপ্তর, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং একাধিক সরকারি পাঠাগারে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছেন কিছুদি আগে।

এই কেন্দ্রগুলি থেকে সরকারের সমস্ত ধরনের প্রকল্প গুলির সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন কারীরা আবেদন করতে পারেন। যারা অত্যন্ত দুস্থ ,গরিব প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন তারা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে বা কাজ করতে সাইবার ক্যাফেতে যেতেন এবং সেখানে প্রচুর টাকা খরচ হত। কিন্তু বর্তমানে ঐ সমস্ত সুবিধা বিনা মূল্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেই মিলছে ।

এই সাফল্য মেলার সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গুলি এরপর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জায়গায় যে নানান খাতে টাকা জমা দিতে হয় তাও এর মাধ্যমে দেওয়া শুরু হয়। যার মধ্যে বিদ্যুতের বিল মেটানো, জমির খাজনা দেওয়া কিংবা নানান ধরনের লাইসেন্স বা অর্থ সরকারের ঘরে জমা পড়ে তাও নেয়া শুরু হয়। এতে সবচেয়ে উপকৃত হয়েছে গ্রামীণ এলাকার ব্লকগুলির মানুষেরা ।

এই কাজ বিভিন্ন জেলাগুলিতে কতটা সার্থক হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মাঝেমধ্যেই সমস্ত জেলাগুলির তথ্য সহ সব জেলার জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেমন সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে এই সংক্রান্ত ২৪ টি জেলার একদিনের যে তথ্য এসে পৌঁছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা একদিনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকারের এই ধরনের অর্থ সংগ্রহ বা আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।


জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের জেলা আধিকারিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমজিত চক্রবর্তী বলেন সোমবার মুখ্যমন্ত্রী দপ্তর থেকেই এই সংক্রান্ত একদিনের যে তথ্য হাতে এসেছে তাতেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ২৪ টি জেলার মধ্যে আমাদের জেলা পশ্চিম বর্ধমান একদিনে ১,৪৮,৫৩৩ টাকা আয় করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে পূর্ব মেদিনীপুর একদিনে ৯৩৭৫৬ টাকা এবং তৃতীয় স্থানে আছে হুগলি ৮৯২০৭ টাকা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে কালিম্পং জেলা।সেখানে মাত্র ১৬০৯ টাকা, কলকাতা ১১৩৫৪ টাকা আয় করেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে । তিনি জানান আমাদের জেলায় ৯৫ টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র আছে। যেখান থেকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক সমস্ত প্রকল্প গুলির সুবিধে সংক্রান্ত সহায়তা ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হয়। তাতেই ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যুবক-যুবতী সকলেই বিনামূল্যে সুবিধা পেয়ে থাকেন।

Leave a Reply