আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গঠন, ” ইনস্টলমেন্ট ” বলে কটাক্ষ বিজেপির, পাল্টা জবাব শাসক
বেঙ্গল মিরর,.রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৬ জুনঃ আসানসোল পুরনিগমের ৫ মেয়র পারিষদ হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির পুর কাউন্সিলরদের দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি। একইসঙ্গে এদিন তিনি আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র হওয়া নিয়েও শাসক দলকে আক্রমন করেন। তবে, এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রীকে পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক।
বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমের ৫ মেয়র পারিষদ হিসাবে শপথ নেন গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত অধিকারী, দিব্যেন্দু ভগৎ, মানস দাস ও ইন্দ্রানী মিশ্র।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি বলেন, আমাদেরকে নিমন্ত্রণ বা বৈঠকের কথা জানানো হয় নি। এটা পুর আইন বিরোধী। মনে হচ্ছে শাসক দল ভয় পাচ্ছে। গত পুর বোর্ডে ৭ জন মেয়র পারিষদ ছিলেন। কিন্তু আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করায় তড়িঘড়ি ৫ জনকে নিয়ে মেয়র পারিষদ গঠন করা হলো।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, এতদিন জানতাম, লোকে ইনস্টলমেন্টে টিভি ও ফ্রিজ কেনেন। এবার তো দেখলাম ইনস্টলমেন্টে মেয়র পারিষদও হয়। এটা তো আসানসোলের মানুষের অপমান। চৈতালিদেবী বলেন, এখনো বোরো চেয়ারম্যান করা হয়নি। তার জন্য পুর পরিসেবা আসানসোলের মানুষেরা পাচ্ছেননা। আমরা বিষয়টি আদালতে জানাবো। আমাদের উদ্দেশ্য দল না সব মানুষ যাতে পুর পরিসেবা পান।
মেয়র চৈতালি তেওয়ারির এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে পুর বোর্ডে গঠন করা যাচ্ছিলো না। তারজন্য পুর পরিসেবায় কোন সমস্যা ছিলোনা। বিজেপির কোন কাজ নেই। তারা মানুষের কথা ভাবে না।
একই সঙ্গে চৈতালি তেওয়ারি দুজন ডেপুটি মেয়র প্রসঙ্গে শাসক দলকে আক্রমন করেন। তিনি বলেন, কলকাতার মতো এত বড় কর্পোরেশন এলাকায় দুজন ডেপুটি মেয়র নেই। খোঁজ নিলে হয়তো দেখা যাবে দেশের কোথাও নেই। আর আসানসোলে দুজন ডেপুটি মেয়র। আসল কথা হলো, নিজেদের স্বার্থের জন্য এখানে দুজন ডেপুটি মেয়র করা হয়েছে। আর রাজ্যপালকে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
চৈতালি তেওয়ারিকে এই ইস্যুতে পাল্টা আক্রমন করেন পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক। তারা বলেন, কাজের প্রয়োজনে দুজন ডেপুটি মেয়র করা হয়েছে। তাতে অসুবিধা কি? দেশের অন্য রাজ্যের অনেক কর্পোরেশনে দুজন ডেপুটি মেয়র আছে। আসল কথা হলো, রাজ্যপাল পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি কেন ফাইল আটকে রেখেছেন, তারজন্য তো বিরোধী দলের উচিত রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা।