ASANSOL

শিল্পাঞ্চলের পরিবেশ বাঁচাতে আসানসোল মহিলা উদ্যোগের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : সারা বিশ্বে উষ্ণায়নের পাশাপাশি আসানসোল শিল্পাঞ্চলের আবহাওয়া এবং বিশেষত তাপমাত্রা গত এক দশকের মধ্যে বেশ খানিকটা পরিবর্তন ঘটেছে। আসানসোলের চিরাচরিত শুষ্ক গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অস্বাভাবিক আদ্রতা। এর মূল কারণ শিল্পাঞ্চলে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে গিয়ে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অতীতে যে পরিমাণ বৃক্ষ ছিল তা বর্তমানে আর নেই।গাছ কেটে ফেলার পরিবর্তে সেই পরিমাণ বৃক্ষরোপণ জরুরী।
আর এই বৃক্ষরোপণ করতে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “আসানসোল মহিলা উদ্যোগ”।আসানসোল মহিলা উদ্যোগ সংগঠন দ্বারা আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল আসানসোলের ঊষাগ্রাম মিউনিসিপাল পার্কে।

ওই কর্মসূচিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবি সুদেষ্ণা ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি তথা ঘোষিত ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল পুর নিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস চ্যাটার্জী ওরফে রকেট, কাউন্সিলর মৌমিতা বিশ্বাস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা সুদীপ্তা তলাপাত্র,  মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য গাঙ্গুলী, প্রতিমা লায়েক, রীনা সেনগুপ্ত, তাপসী মৈত্র, প্রমুখ।

বস্তুত, কিছুদিন আগেই ৫ ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ফলে ওই দিনটি থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আসানসোল মহিলা উদ্যোগের সভাপতি সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, ” আমরা  সারা বছরে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা নিয়েছি। আজ একই সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে একই সঙ্গে বেশ কিছু গাছ লাগাচ্ছি।”

এদিকে অভিজিৎ ঘটক বলেন , “গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করতে বৃক্ষরোপণ ভীষণ প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই গত বছর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবনে ৫ কোটি বৃক্ষরোপণ এর পরিকল্পনা নিয়েছেন।  এদিকে গুরুদাস চ্যাটার্জী বলেন, ” চারাগাছগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে সেকারণে  নিয়মিত জল দেওয়া হবে এবং চারাগাছ গুলোর দেখভাল করা হবে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আসানসোল মহিলা উদ্যোগের এই বৃক্ষরোপণ অবশ্যই পরিবেশ দূষণ রোধে করতে নতুন দিশা দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply