“কিছু বলতে চাই ” প্ল্যাকার্ড হাতে চাকরি চেয়ে আবেদন, তাল কাটলো বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায়, তুললেন মামলার প্রসঙ্গ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও কাজল মিত্রঃ সবে মাত্র ২০ মিনিট বক্তব্য রাখা হয়েছে। একের পর এক ইস্যুতে আক্রমণ করে চলেছেন। আর ঠিক সেই সময় হলো বিপত্তি। আসানসোলের পোলো ময়দানে মঙ্গলবার দুপুরে দলের কর্মীসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য চলাকালীন কিছু মহিলা চাকরির দাবি করে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বলতে শুরু করে। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ” দিদি কথা বলুন, ” ” দিদি কিছু বলতে চাই “। স্বাভাবিক ভাবেই সভার তাল কাটে। আর এই মহিলারা ছিলেন একবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে। যে কারনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তা চোখেও পড়ে। জানা যায়, এই মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে কলকাতায় যে আন্দোলন চলছে, তাদের মধ্যে আছেন।
তাদেরকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আদালতে থাকায় এটা রাজ্য সরকারের হাতে নেই। আর আমি তো কেস করিনি। আপনারা করেছেন। সিপিএমের নেতা বিকাশবাবুকে গিয়ে বলুন? তিনি তো কেস করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে বলেন, আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে সব শূন্য পদে নিয়োগ করে দেওয়া হবে। আমরা সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, আজ সারা বাংলায় বিরোধীরা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের কী হবে, তার জবাব দিতে হবে আদালতে মামলা লড়তে থাকা বিরোধী দলগুলোকে। তিনি বলেন, ১৭ হাজার চাকরি রেডি করা হয়েছে। ক্যাবিনেটে আরো ৫ হাজারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। কিন্তু, আমাদেরকে তো কোর্টের কথা মানতে হবে।
প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলারা উঠতেই চিত্র সাংবাদিকরা ছবি তুলতে ছুটে যান। সভায় হইচই পড়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সাংবাদিকদেরও সমালোচনা করেন। বলেন, দু/চারজন কি করলো, তা নিয়ে পড়ে গেলেন।
গোটা বিষয়টি এতটাই তাৎক্ষণিকভাবে হয় যে, অস্তিত্বতে পড়ে যান তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও পুলিশ আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাদের কাছে গিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেন। বসিয়ে দেওয়া হয় তাদের। জানা গেছে, এমন কিছু একটা হবে, তা আঁচ করা আগে থেকেই ছিলো। সেই কারণেই কোন পোস্টার নিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। তারপরও এই ঘটনা।