ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানিগঞ্জে মিলেছে সেল গ্যাসের সবচেয়ে বড় ভান্ডার, বিনিয়োগ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা, হয়েছে চুক্তি, আসানসোলের সভা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, দেব ভট্টাচার্য : ( Fifteen Thousand crores will be invested in Raniganj ) পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জে মিলেছে সেল গ্যাসের সবচেয়ে বড় ভান্ডার। এটা এক ধরনের ক্লিন এনার্জি গ্যাস। এখানে বিনিয়োগ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের পোলো ময়দানে দলের কর্মী সভা থেকে এমনটাই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, গত ২২ জুন এই প্রজেক্ট নিয়ে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশনের সঙ্গে সরকারের একটা চুক্তিও হয়েছে। আগেই বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিলো। এরজন্য রানিগঞ্জে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দূর্গাপুরের গ্যাসের জন্য এসার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সেখানেও ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান হবে ১০ হাজার মানুষের।


পাশাপাশি তিনি বলেন, বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতেও লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে সবচেয়ে বড় কোল ভান্ডার রয়েছে। অন্ডালের কাজি নজরুল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলা হবে। সেখান থেকে লন্ডন, আমেরিকা, দুবাই সহ বিশ্বের সব দেশে যাওয়া যাবে। বার্ণপুরে ইস্কোর একটি ছোট এয়ারস্ট্রিপ আছে। তারা সেটা বড় করতে চাইলে রাজ্য সরকার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও অমৃতসর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত পন্য বা ফ্রেড করিডোর করা হচ্ছে। তারজন্য পুরুলিয়ায় আড়াই হাজার জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এখানে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা রাজ্যে শিল্প ঢেলে করছি।


রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার মানুষ লক্ষ্মী ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী সহ সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার রেশনের গম বন্ধ করে দিয়েছে, তবুও রাজ্য সরকার বাংলার মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। গমের বদলে চাল দেওয়া হচ্ছে। সেই চাল চাষীদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে কিনছে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিডিয়ার কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন, মহারাষ্ট্রে কোটি টাকা খরচ করে এমএলএদের কিনে যখন জনমত নিয়ে গড়া সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন মিডিয়া চুপ থাকে। কিন্তু তৃনমুল কংগ্রেসের নেতারা সামান্য কিছু করলে মিডিয়া তোলপাড় শুরু করে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই যে, কোন পঞ্চায়েত প্রধানের একটা বাড়ি থাকলে, তা ফলাও করে ছাপা হচ্ছে। কেন কারোর কি বাড়ি থাকতে পারে না? সে কি নিজের রোজগারের টাকায় একটা বাড়ি করতে পারে না? আমার বাড়িতে একজন কাজ করে, তারও একটা বাড়ি আছে। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। সাংবাদিকদের কি বাড়ি নেই? আমি জানি কার কি আছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *