ASANSOL

রেল থেকে সেলের বেসরকারিকরণ ও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত, আসানসোলের সভা থেকে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol News Live Today ) বিজেপি চালিত কেন্দ্র সরকার দেশের প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পগুলোকে ধীরে ধীরে হয় বেসরকারিকরন, নয়তো বন্ধ করার পথে ঠেলে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গুলো যখন আন্দোলন করছে। সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোল খনি শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক স্বার্থে তাদের আন্দোলনকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন।


আসানসোলের পোলো ময়দানে মঙ্গলবার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের এক বিশাল কর্মী সভায় তিনি বলেন, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা অর্ডার বাড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে এই কারখানা ও তাদের শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছিলাম । এখন শুনছি সেই কারখানা অবস্থাও ভালো নয়। কেন্দ্র সরকার এই কারখানাকেও বেসরকারিকরনের চেষ্টা করছে। শুধু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নয় , রেলে ইতিমধ্যেই ৮০ হাজার শূন্যপদ তুলে দেওয়া হয়েছে। বহু রেল প্রকল্প বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। কোল ইন্ডিয়ার অধীন কয়লাখনি গুলো ধীরে ধীরে বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেলের কিছু কিছু প্রকল্পের একই অবস্থা। ওরা আসলে সব বন্ধ করে দিতে চায় । কর্মী সংকোচন করতে চায়। অথচ একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, তারা ৬০ হাজার লোককে চাকরি দেবেন ।

আর অন্যদিকে শুধু রেলেই কয়েক হাজার পদকে তুলে দেওয়া হলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমালোচনার সুরে বলেন, এর আগে ভোটের সময় তিনি বলেছিলেন বছরে দুই কোটি লোককে চাকরি দেবেন। সেই চাকরি কোথায়? আসল কথা দেশের মানুষকে প্রতিদিন ওরা বোকা বানাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে জোক করছেন। এই রাজ্যে যারা কাজ করেন তাদের কিন্তু ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ থাকে।
মুখ্যমন্ত্রীর রেল ও কোল নিয়ে এই বক্তব্যের পর এদিনের সভায় উপস্থিত থাকা তৃনমুল কংগ্রেসের কয়লা খনি শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, ইসিএলের ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কয়লা খনি উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। কিছুকে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই আমরা লড়াই করছি।


অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা আইএনটিইউসির নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং ও সিটু নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী সংখ্যা গত এক দশকে অর্ধেক প্রায় নেমে এসেছে। আউটসোর্সিংয়ের পরিমাণ ইতিমধ্যেই এই কারখানায় ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রেল কারখানাগুলোকে কর্পোরেট করার জন্য যে ভাবনা চিন্তা করছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক কথাই বলেছেন।

Leave a Reply