BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

হটাৎ করে স্কুল পরিদর্শনে বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে প্রায় ২ বছর বন্ধ ছিল সমস্ত স্কুল। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর
পুনরায় সকল স্কুল ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে তারপরেই ঘোষণা হয় গরমের ছুটি প্রায় আরো দেড়মাস গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলে গেছে সমস্ত স্কুল। স্কুল খোলার পর স্কুলের পরিস্থিতি পরিদর্শনে এদিন নামো কেশিয়া ২ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায় মহাশয়।


বুধবার ছিল হুল দিবস আর এই দিবসে সালানপুর ব্লকের জিৎপুর পঞ্চায়েতের নামকেশিয়া গ্রামে সিধু কানুর মূর্তি প্রতিস্থাপনের পর আচমকাই সামনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখলেন মেয়র ,মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিল সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি, জেলাপরিষদ এর কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির ওসি মনজিত ধারা,সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র জিৎপুর উত্তরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস চৌধুরী , উপপ্রধান বন্দনা মন্ডল, সমাজসেবী ভোলা সিং ।


এদিন বিধায়ক স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে সমস্ত ক্লাস কক্ষে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে।পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বেশ খোশ মেজাজে কথা বলতে দেখা গেল মেয়র তথা বিধায়ককে।এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সকলের কাছেও জানতে চাই তাদের অসুবিধার কথা । এরসাথে সাথে মেয়র মিড-ডে-মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন।

এপ্রসঙ্গে মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোরোনা কাল কাটিয়ে ছাত্রছাত্রীরা এতদিন পর স্কুলে আসছে।এতদিন পর স্কুলে আসতে পেরে সবচেয়ে খুশি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনি সময় এই স্কুলের আসার সময় পাইনা। তবে এখানে আসতে পেরে সবার সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগল। তবে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে জানা গেল যে স্কুলে কিছুটা পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে ।তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর জল প্রকল্পের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে টাইম কলের বাবস্থা করা হচ্ছে ।তবে স্কুল গুলিতে সেরকম ব্যাবস্থা এখনো হয়নি যদিও স্কুলে দুটি চাপাকল আছে কিন্তু সেই কল দুটিতে ঠিক মত জল না পড়ার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে পঞ্চায়েতের প্রধানকে এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *