সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ইসিএলের আরো এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ কয়লা পাচার মামলায় ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সহ ৭ জনের গ্রেপ্তারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসিএলের আরো একজন সদ্য অবসর নেওয়া জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করলো সিবিআই। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতর নাম সুভাষ মুখোপাধ্যায়। মাস তিনেক আগেই তিনি ইসিএলের শাঁকতরিয়ার সদর দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার পদ থেকে অবসর নেন বলে জানান তার আইনজীবী উদয়চাঁদ মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, শনিবার তাকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তার স্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে শুক্রবার সকালেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুভাসবাবুর আইনজীবী আরো জানান,, ২০২০ সালের আর সি ২২/২০ কয়লা কাণ্ডের মামলায় সুভাষ বাবুর ফ্লাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে কিছু কাগজপত্র, আবাসনের দলিল এবং ২৬ টি কিষান বিকাশ পত্র ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল । ২০০৮ সাল বা তার আগে আবাসন সহ অন্য সবকিছু কেনা হয়েছিল।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার উচ্চ আদালতে গেছিলেন ঐ জিনিসগুলি ফেরত দেওয়ার আবেদন নিয়ে। ওই আদালত জানিয়েছিল সিবিআই আদালতে গিয়েই এই আবেদন করতে হবে। সেইমত তার বাড়ির দলিল ,কিষান বিকাশ পত্র সহ বেশ কিছু কাগজ সিবিআইকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গত ৩০ মার্চ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী দিয়েছিলেন। যদিও উদয়বাবুর দাবি, টাকা বাদ দিয়ে বাকি সব সিবিআই ফেরত দিয়েছে আদালতের নির্দেশ মতো ।
প্রসঙ্গতঃ, সিবিআই বুধবার রাতে এই কয়লা পাচার মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছওলে। তারা হলো প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায় তন্ময় দাস, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র ও মুকেশ কুমার। এছাড়া দুজন নিরাপত্তা রক্ষী হলেন দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারা। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিলো। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাদের জামিন নাকচ করে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী সোমবার তাদেরকে আবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে।