PANDESWAR-ANDAL

অন্ডালে শিশু খুনের ঘটনা, ১৫ দিন পরে গ্রেফতার এক মহিলা সহ ৪ জন

বেঙ্গল মিরর, অন্ডাল রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ঘটনার ১৫ দিন পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানার মাধবপুরে শিশু খুনের ঘটনায় ধরা পড়লো এক মহিলা সহ চার জন। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত ৬ জুলাই অন্ডাল থানার কাজোড়ার মাধবপুর এলাকায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সৌরভ বাউরী (৭) নামে এক শিশু। চার দিন পর বাড়ির কাছাকাছি জঙ্গল থেকে শিশুটির ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সৌরভকে খুন করা হয়েছে বলে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা। খুনের রহস্য ভেদ ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অন্ডাল থানা ঘেরাও করে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখায় এস,সি /এস,টি সেল পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ সমিতি সহ একাধিক সংগঠন। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে তারা সরব হন। গত মঙ্গলবার বাউরি সমাজ সমিতি মঞ্চ নামে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী দু দিনের মধ্যে অভিযুক্তরা ধরা না পড়লে জাতীয় সড়ক অবরোধ সহ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা। তদন্তে বেশ কিছু সূত্র পাওয়া গেছে শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে বলে সেদিন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়।


এরপরেই বুধবার রাতে মাধবপুর এলাকা থেকে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলা সহ চারজন ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। ধৃতদের নাম যশোদা বাউরী, উমেশ বাউরী, রোহন বাউরী ও গণেশ বাউড়ী। ধৃতরে সকলেই একই পরিবারের বলে পুলিশ জানায়।
জানা গেছে ৬ জুলাই মৃত সৌরভ সমবয়সী এক বন্ধুর সাথে মাঠে খেলছিল। সেই সময় ঐ বন্ধুর মাসি ধৃত যশোদা বাউরীকে সৌরভ উত্ত্যক্ত করছিল। রেগে গিয়ে যশোদা সৌরভকে ইট ছুড়ে মারলে সৌরভ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে ঐ মহিলা সৌরভকে তুলে নিয়ে যায় নিজের বাড়ি। শিশুটির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন বাড়িতে। পরে যখন বুঝতে পারেন শিশুটি মারা গেছে তখন তার দেহটি বাড়িতেই লুকিয়ে রাখেন মহিলা। ৯ জুলাই রাতে সুযোগ বুঝে ঝোপের মধ্যে দেহটি ফেলে আসেন। এই কাজে ওই মহিলাকে সাহায্যে করেন অন্য অভিযুক্তরা। যদিও কি কারণে শিশুটিকে খুন করা হলো এই বিষয়ে পুলিশ কোন মন্তব্য করেনি। এদিন ধৃতদের দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়। অন্ডাল থানার এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কি কারণে এই খুনের ঘটনা তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *