আসানসোল ডিভিশনে চালু হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল মেশিন, ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় নতুন ব্যবস্থা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ দূরপাল্লার যাত্রী ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় আর হাতে যাত্রীদের সংরক্ষণের চার্ট বা তালিকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে পরীক্ষা করতে হবে না ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার বা টিটিইদের।
এখন থেকে হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল বা এইচএইচটি মেশিন নিয়ে যাত্রী ট্রেনের সংরক্ষিত যাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাবেন টিকিট পরীক্ষকরা। আর সেইসব যাত্রীদের পিএনআর নম্বর ধরে যেমন পরীক্ষা করবেন তেমনিই কোনও যাত্রী যদি ঐ ট্রেনে সংরক্ষণ থাকা সত্ত্বেও না ভ্রমণ করেন তাহলে সেই খবর সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব রেলের ফেয়ারলি প্লেস বা দিল্লির সেন্ট্রাল টার্মিনাল সহ সব জায়গাতেই পৌঁছে যাবে। আর সেই শুন্য বা ফাঁকা আসনের জন্য যদি কেউ টিকিট কাটতে যান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার সংরক্ষণও হয়ে যাবে।
রবিবার থেকে পূর্ব আসানসোল রেল ডিভিশনে চালু হলো এই মেশিনের ব্যবহার । এই মেশিন চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন সময় ট্রেনে সংরক্ষিত যাত্রীর কোন ফাঁকা আসন নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠতো সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে রেল আধিকারিকদের দাবি।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল সুপারিনটেনডেন্ট শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এউ ডিভিশনে আমরা সবার প্রথমে আসানসোল হাওড়া অগ্নিবীনা ও আসানসোল শিয়ালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় টিটিইদের কাছে এই মেশিন দিয়েছি। এমন ২৭ টি মেশিন আসানসোল ডিভিশনে এসেছে। যে দুটি ট্রেনে আমরা এই ব্যবস্থা চালু করেছি সে দুটি ট্রেন পূর্ব রেলের মধ্যেই চলাচল করছে। তিনি আরো বলেন, এবার থেকে আর টিটিইদের ট্রেন কাগজের চার্ট নিয়ে উঠতে হবে না। সব কাজ এখন থেকে এই মেশিনেই হবে।
সেন্ট্রাল টার্মিনালের সঙ্গে এই মেশিনগুলি তথ্য যুক্ত করা আছে। যেমন ধরুন হাওড়া থেকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ছেড়েছে আসানসোলের উদ্দেশ্য। বর্ধমান থেকে কেউ টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলেন যে ঐ ট্রেনের একজন সংরক্ষিত যাত্রী আসেননি । তাহলে তার ঐ টিকিটটি সংরক্ষণ হয়ে যাবে টিকিট কাউন্টার থেকেই। এই রেল আধিকারিকের মতে, এতে রেলের কাজের স্বচ্ছতা আরো বাড়বে। পাশাপাশি আগে স্টেশন থেকে যাত্রীরা যে সুবিধা পেতেন না, এবার থেকে তা পাবেন।