আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হঠাৎই হাজির তদন্তকারী দলের দুই অফিসার, জমা পড়লো বেশ কিছু নথি, জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বুধবার বিকেল চারটের এসে পৌঁছান গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের দুই অফিসার। তবে, সিবিআইয়ের অফিসাররা যে আসানসোল আদালতে আসতে পারেন, তার একটা ইঙ্গিত এদিন দুপুরের পর থেকেই পাওয়া যাচ্ছিলো। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুই অফিসার এদিন বীরভূমের বোলপুর থেকে সরাসরি এসে পৌঁছান। তবে তারা ঠিক কি কারণে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এসেছেন, তা আদালত সূত্রে সরকারি ভাবে জানা যায়নি। দুই অফিসার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে সোজা চলে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের কাছে। তাকে বেশ কিছু কাগজ ও ফাইল দিয়ে দুই বিকেল পাঁচটা নাগাদ আদালত থেকে বেরিয়ে বোলপুরের উদ্দেশ্যে চলে যান।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/08/IMG-20220817-WA0043-1-e1660745897988-500x281.jpg)
যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটা সূত্র থেকে জানা গেছে, সিবিআই অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী বর্তমানে আসানসোল জেলে থাকা সায়গল হোসেনের সম্পত্তি সম্পর্কিত কিছু তথ্য আদালতে জমা দিতে এসেছিলেন। আরো জানা গেছে, এদিন সকালে সিবিআইয়ের দল বীরভূমে অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু সে কথা বলতে চায়নি। মনে করা হচ্ছে, অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলা ও তল্লাশির জন্য সার্চ ওয়ারেন্ট চেয়ে সিবিআই আসানসোলের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি গরু পাচার মামলায় সিবিআই এখনো পর্যন্ত যে তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে নাম থাকা একজনের বিরুদ্ধে এ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়ে থাকতে পারে। একইসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের এক ঘনিষ্ঠর নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানা গেছে। ঐ ঘনিষ্ঠর বাড়িতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তল্লাশি করেছে। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। কিন্তু এদিন দুপুরের পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ছিলেন না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার আসানসোল জেলে থাকা সায়গল হোসেনকে জেরা করতে আসেন সিবিআইয়ের দুই অফিসার। জানা গেছে, তারা আলাদা একটি সায়গলকে নিয়ে এসে একঘন্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেন। মনে করা হচ্ছে, সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা অনুব্রত মন্ডল নিজের দেহরক্ষী নিয়ে যে সব কথা বলেছেন, সেই ব্যাপারে জানতে সিবিআইয়ের দুই অফিসারের আসানসোল জেলে আসা।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার আবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সায়গল হোসেনের জামিন আবেদনের শুনানির দিন রয়েছে। এদিনই সায়গলের হেফাজতে থাকার মেয়াদ ৬৯ দিন হবে। গত ৮ আগষ্ট এই গরু পাচার মামলায় সিবিআই তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিট আসানসোল আদালতে জমা দিয়েছে। তাতে সায়গলের পাশাপাশি আবদুল লতিফ ও বিকাশ মিশ্রর নাম ছিলো। আবদুল লতিফকে এখন সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। আর বিকাশ মিশ্র বর্তমানে কলকাতার প্রেসিডেন্ট জেলে রয়েছে।