ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ দিন পরে হাজির মোনালিসা দাস, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়” বলে কাউকে চিনি না, জানিও না

প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পরে উধাও, ইডির তলব থেকে সব অভিযোগই অস্বীকার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দূর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পরেই তার নাম প্রকাশ্যে এসেছিলো। তারপর থেকে তিনি একবারেই উধাও ছিলেন। ৪০ দিন পরে তার দেখা মিললো। আর অস্বীকার করলেন সব অভিযোগও।
বললেন, “আমি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়” বলে কাউকে চিনি না। জানিও না”। আমাকে ইডি কখনও ডেকে পাঠায়নি। ইডির নোটিশ পাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। আমি একজন সৎ অধ্যাপিকা। আমার বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন”। সোমবার এইভাবেই প্রথম মুখ খুলে সবকিছু উড়িয়ে দিলেন আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ও বিভাগীয় প্রধান মোনালিসা দাস।


তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাণ্ডে আপনার নাম জড়াচ্ছে। কিছু বলবেন ? উত্তরে মোনালিসা দাস এদিন বলেন, “এই নিয়ে কিছু বলতে পারবো না”। তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্মারক লিপি জমা দিয়েছেন আপনার বিরুদ্ধে। উত্তরে তিনি বলেন, আমি একজন সৎ। শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। ইডি আমাকে কেন নোটিশ পাঠাবে? প্রশ্নই আসেনা।


এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় না আসার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাই আসতে পারিনি। এছাড়াও অসুস্থ থাকায় কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অবান্তর। অভিযোগ উঠছে
আপনার সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রয়েছে ? বোলপুরের বাগানবাড়ির দেখতেন আপনি করতেন ? এইসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি মোনালিসা দাস।


উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই চর্চায় আসে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসের নাম। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের মধ্যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো এই মোনালিসা দাসেরও নাম উঠে আসে। তিনি ইডির নজরে আছেন বলেও জল্পনা শুরু হয়। মোনালিসা দাসেরও নাকি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি আছে।
বলতে গেলে, সেদিন থেকেই অন্তরালে চলে গেছিলেন মোনালিসা দাস। আসানসোলের এসবি গড়াইরোডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মোনালিসা দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *