দুর্গাপুজোয় কমিটিগুলিকে কেন ৬০,০০০ টাকা, রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করল হাইকোর্ট
অনুদানের বিরুদ্ধে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কেন পুজো কমিটিগুলিকে ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে তার স্পষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে। কারণ দর্শানোর জন্য রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, সরকারকে কারণ দেখিয়ে আদালতে হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপূজা কমিটিকে কেন ৬০,০০০ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি পিআইএল বা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন প্রশ্নও উঠেছে যে রাজ্য যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারছে না, সেখানে রাজ্যের এতগুলি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা দেবে কী করে? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, কেন অনুদান দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/09/img-20210929-wa00263842148601517224942.jpg?resize=500%2C375&ssl=1)
এই বিষয়ে রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। প্রতিবাদী পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একটি বৈঠক ডেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর উভয় বিচারপতি বলেন, রাজ্যকে ৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা পেশ করে পুজোতে ৬০,০০০ টাকা দেওয়ার কারণ জানাতে হবে এবং একই দিনে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান আদালত।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গা পূজা কমিটিকে ৬০,০০০ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। গত দুই বছরে পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্যের দেওয়া অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০,০০০ টাকা। এর পরেও পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া রাজ্যের অনুদান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। রাজ্যের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এবার আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি বিদ্যুত বিলেও ছাড় পাবে পূজা কমিটিগুলো। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা।