ASANSOL

আসানসোল জেলে অনুব্রত মন্ডল ও সায়গলকে জেরা সিবিআইয়ের আধিকারিকের, মুখে কুলুপ, দাবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ গরু পাচার মামলায় আপাততঃ আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও তার ছায়াসঙ্গী তথা দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।
মঙ্গলবার এই মামলায় আরো তদন্ত করতে ও সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তার ” ক্রস ইগজামিনেশনে ” জেরা করতে জেলে যান সিবিআই। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ একটি গাড়ি করে সিবিআইয়ের চার আধিকারিক জেলে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। একজন জেলে ঢোকেন। সুশান্তবাবু সহ বাকিরা আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে চলে যান।

জেলে ঐ আধিকারিক এক ঘন্টা ১০ মিনিট ছিলেন। দুপুর একটা বেজে দশ মিনিটে জেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অনুব্রত ও সায়গল দুজনকেই জেরা করেছেন? ছোট্ট উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ। তারা কি সহযোগীতা করেছেন বা কিছু বলেছেন? সিবিআই আধিকারিক বলেন, না। এরপর তিনি সোজা চলে যান আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানে তিনি ও অন্য অফিসাররা বিকেল তিনটে পর্যন্ত ছিলেন। তারা সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষুন কথা বলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা অনুব্রত মন্ডল ও সায়গল হোসেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি জমা দিয়েছেন।


প্রসঙ্গতঃ, গত সব মিলিয়ে ৮২ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন সায়গল হোসেন। তাকে গত ১৮ আগষ্ট শেষ বার সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিলো। সেদিন তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তাকে আবার আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে। এর আগেও সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করেছেন।
অন্যদিকে, গত ২৪ আগষ্ট থেকে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। তারও ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়েছে। তাকে গত ১১ আগষ্ট সিবিআই বোলপুর থেকে গ্রেফতার করেছিলো। প্রথমে ১০ দিন ও পরে আরো ৪ দিন সবমিলিয়ে মোট ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা করেছে সিবিআই। কিন্তু সেই জেরায় মুখ খোলেননি অনুব্রত মন্ডল। চুপ করে থেকেছেন জিজ্ঞাসাবাদে। যা আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারককে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের দুই আইনজীবী কালিচরণ মিশ্র ও রাকেশ কুমার।


এদিকে এদিন জেল সূত্রে জানা গেছে, বেশ খোশমেজাজেই সেখানে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। চিকিৎসক তার শরীরের দিকে নজর রাখছেন। বিচারক তার চিকিৎসার জন্য যা যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনে চলছেন জেল কতৃপক্ষ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুব্রত মন্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আবার আদালতে তোলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *