আসানসোল জেলা হাসপাতাল : টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা, সুস্থ যোগী রাজ্যের বৃদ্ধা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( telemedicine from asansol district hospital) যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে আসানসোলে আসা প্রায় ৭০ বছরের এক মহিলা স্ট্রোকে কিছুটা পক্ষঘাতগ্রস্থ হলেও জেলা হাসপাতালে অললাইন টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠলেন অনেকটাই। আর এতেই উত্তর প্রদেশ থেকে আসা তার পুত্র সহ পরিবারের লোকেরা আসানসোলের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অত্যন্ত খুশি।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![ASANSOL DISTRICT HOSPITAL](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2020/07/IMG-20200729-WA0042-1-500x312.jpg)
জানা গেছে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে নাজমা খাতুন(৭০) নামে এক রোগিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন।তিনি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। নাজমা খাতুন আসানসোলের মুন্সী বাজারে মেয়ের বাড়ি এসেছিলেন দিন দশেক আগে। তার উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেয় রোগ আছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তার ছেলে নওশাদ আলম জানান বুধবার আচমকাই তিনি ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শরীরের বাঁ দিকে হাত ও পা অনেকটা অচল হোয়্যাই।মুখটাও সামান্য বেঁকে যায়।
এরপর আমরা তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করি।পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন ওই রোগিণীর মস্তিষ্কে স্টোক হয়েছে।এরফলে রোগিণীর বাঁদিকটা অচল হয়ে পড়ে।এরপর এই বিষয়েটি নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক গৌতম মন্ডল কোলকাতায় এস এস কে এম হাসপাতালের নিউরো চিকিৎসকদের সঙ্গে অনলাইনে টেলি মেডিসিনে চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্ত তথ্য বিনিময় করেন। সেখান থেকে নির্দেশ দেয়া হয় একটি বিশেষ ইনজেকশন দেওয়ার জন্য যা সরকারি হাসপাতালেই আছে।
চিকিৎসক গৌতম মন্ডল বলেন এরপরেই ওনাকে সি সি ইউ তে নিয়ে যাই এবং ওই ইনজেকশন সহ অন্যান্য চিকিৎসা দিয়ে আমরা টেলিমেডিসিনের ডাক্তারের নির্দেশমতো কাজ করি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দেখলাম তার হাত এবং পা তিনি তুলতে পারছেন। মুখটাও অনেকটা ঠিক হয়েছে। আগেউনি কথা বলতে পারছিলেন না। এই দিন দু একটা করে কথা বলাও শুরু করেন। আমরা প্রত্যেক রোগীর পরিবারের কাছেই অনুরোধ করবো এই ধরনের স্ট্রোকে যারা আক্রান্ত হবেন তারা তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসুন । আমরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীকে ভালো করার চেষ্টা করব। এই তিন থেকে চার ঘণ্টা গোল্ডেন পিরিয়ড বলে আমরা মনে করি।