ASANSOL

অনুব্রত মণ্ডলকে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। জেল থেকে তাকে অন্যত্র যাওয়ার সময় ভিড়ের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আসানসোল জেলের সুপারিনটেনডেন্ট কৃপাময় নন্দী বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে একটি চিঠি লিখেছেন যাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়ায় হাজির করার আবেদন করা হয়েছে।


পরবর্তী শুনানিতে অনুব্রতকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বা ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে। যেমনটা হয়েছিল স্কুল শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির ক্ষেত্রে। বর্তমানে প্রাক্তন শিক্ষা প্রেসিডেন্সি জেলে থেকে রয়েছেন। গত ১১ অগাস্ট, সিবিআই গরু পাচারের মামলায় অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে। ২৪ আগষ্ট থেকে বীরভূমের এই নেতাকে ১৪ দিনের জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। অনুব্রত বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। ১৪ দিন জেলে থাকার পর ৭ সেপ্টেম্বর তাকে আবার আদালতে হাজির করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগেই শুক্রবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে চিঠি দেন জেল সুপার। চিঠিতে তিনি বলেন, অনুব্রতকে যখন জেল থেকে বের করে বিধাননগরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাকে ঘিরে ছিলেন মিডিয়া প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। এতে জেল কর্তৃপক্ষকে যেমন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনি অন্যান্য বন্দীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিরাপত্তার কারণে ৭ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে তার আবেদনের ওপর শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, অনুব্রতকে একটি পুরনো মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংসদ ও বিধায়কদের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, আসানসোল সংশোধন কেন্দ্র থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া এবং শুনানির পর ফেরত আনতে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। আদালত চত্বরে বিপুল ভিড়ের মধ্যে অনুব্রতকে রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। কেউ কেউ ‘গরু চোর’ স্লোগান তুলে তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষও করেন। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে জেল সুপার বিচারকের কাছে আবেদন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল। অনুব্রতর গরু পাচার মামলা ভার্চুয়াল শুনানির অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেল সুপারের আবেদনটি জেলা জজের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেননা সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির কোন ব্যবস্থা নেই। এই ব্যবস্থা আছে সিবিআই আদালতের পাশে ভিডিও কনফারেন্স রুমে। জেলা জজ সুনির্মল দত্তর অনুমতি পাওয়া গেলেই তবে, তা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *