BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল সহ বিভিন্ন রুটে বাস বন্ধ

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- দুটি বড় বাসের বাসের কর্মীদের বাসের সময়ে নিয়ে কর্মীদের ঝামেলা । আর তার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল , বর্ধমান , বাঁকুড়া , সিউড়ি সহ বিভিন্ন রুটের বড়বাস চলাচল বন্ধ । পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোলের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত মিনিবাস বন্ধ হয়ে যায় । এর ফলে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েন । আর বাস না চলায় পোয়াবারো অটো ও টোটো চালকদের । তারা যে যার খুশি মতো ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা । রেষারেষি চলে । পরে সেই কারণে ঝামেলা ও পরে মারামারি হয় । বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছিলো আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডে ।

সেবক বাসের মালিক জগজিৎ সিং বলেন , আমার বাসের চালক বুবাই মণ্ডলকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় । শুক্রবার তার সিটি স্ক্যান পর্যন্ত করাতে হয়েছে । অন্যদিকে সেরা বাংলা নামে চিত্তরঞ্জন বর্ধমান রুটের বাসের মালিক সিধু চৌধুরী জানান , তার বাসের বড় বাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন , আমরা ঐ দুই বাসের মালিকের কাছ থেকে এই ঘটনার সম্পর্কে আগে কিছু জানতে পারিনি । আমরা ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি , যাতে আগামীকাল শনিবার থেকেই সমস্ত বড় বাস চলাচল শুরু করে । অন্যদিকে , মিনিবাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন , এই ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত । এভাবে কোন বাস বা মিনিবাস বন্ধ করে দেওয়া আমরা সমর্থন করি না । আগামীকাল থেকেই যাতে সমস্ত মিনিবাস চলে তার জন্য আমরাও নির্দেশ দিয়েছি ।

চালক শেখ চঞ্চলকে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এই দুই ঘটনায় পর বাসের কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন শুক্রবার ভোর থেকে তারা বাস ও মিনিবাস চালাবেন না । বাস না চলায় পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষরা এদিন সকাল থেকে দুর্ভোগে পড়েন । আচমকা বাস চলাচল ল বন্ধ হয়েছে । এটা অনেকেই জানতে না পেরে শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে থেকে চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বাস ধরে যারা আসানসোলে ট্রেন ধরতে যান তারা এদিন অনেকেই স্টেশনে আসতে পারেননি । আবার কেউ কেউ টাকা খরচ করে অটোতে করে আসানসোলে গেছেন । জানা গেছে , সেবক নামে চিত্তরঞ্জন আসানসোল রুটে চলাচলকারী একটি বাসের কর্মীদের সঙ্গে বর্ধমান থেকে চিত্তরঞ্জন রুটে চলাচলকারী আরেকটি এখন বাস যে মালিক ও তাদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে নেই এটা এই ঘটনা থেকে বোঝা গেল বলে নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *