দুই ফুল দিয়ে দেশ ও বাংলার মানুষদের ” ফুল ” বানানো হচ্ছে : মহঃ সেলিম
শুরু দুদিনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা ডিওয়াইএফআইয়ের ২৩ তম সম্মেলন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি থেকে ভেদাভেদ। এই ইস্যুতে একযোগে আবারও কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি ও রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। একইভাবে দুই দলকে নিয়ে আক্রমনাত্মক ছিলেন যুব নেত্রী সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
শনিবার থেকে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে শুরু হলো ডিওয়াইএফআই বা ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৩ তম জেলা সম্মেলন। দুদিন ধরে এই সম্মেলন হবে।
এই সম্মেলন উপলক্ষে আসানসোলের জিটি রোডের রোডে গীর্জা মোড়ের কাছে পুরনো বাসস্ট্যান্ডে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ করা হয়। সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহঃ সেলিম বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুটোই ফ্যাসিবাদী শক্তি। এই দুই দলের কাছে অপরাধ কোন ব্যাপার নয়। কোন অপরাধ হলেও, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। জিএসটি প্রসঙ্গে মহঃ সেলিম বলেন, এর একাংশ যায় মোদির কাছে। বাকিটা দিদির কাছে। মনে রাখতে হবে, এই টাকা আমার ও আপনার। অন্য কারোর নয়।
বর্ধমানের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা ” ব’ টেনে দেখতে গেছিলো কতটা শক্ত। কিন্তু কাটমানি নিয়ে তা এমন তৈরী করা হয়েছে, তা একটুতেই ভেঙে পড়লো। আসল কথা নবান্নের ভিত কতটা শক্ত তা পরীক্ষা করার আগে ছেলেরা বর্ধমান সার্ভে করছিলো। এই “ব” দিয়ে বাংলার মানুষদের বোকা বানানো হচ্ছে। যেমন করে দুই ফুল ( পদ্ম ও ঘাসফুল) দিয়ে দেশ ও বাংলার মানুষদের ” ফুল ” বানানো হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বেকারত্ব থেকে কর্মসংস্থান না হওয়া নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষেরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা এবার ঐক্যবদ্ধ ও একজোট হয়ে দুই দলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। তাদের সঙ্গে বামপন্থীরা আছেন। সমাবেশে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা নেতাদের পাশাপাশি সিপিএম ও অন্য সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।