দুটি পৃথক পথ দূর্ঘটনা, দুই মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের কুলটি ও সালানপুরে দুটি পৃথক পথ দূর্ঘটনা, দুই মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু, সালানপুর থানার দেন্দুয়া রামডি সংলগ্ন এলাকায় একটি মিনিবাস ও একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হলো একজনের। শনিবার সকালে হওয়া এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন মোটরসাইকেল চালক ও এক আরোহী। মৃতর নাম তারক বাউরি (৫৫)। তার বাড়ি সালানপুর থানার জেমারিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালানপুরের রামডির কাছে চিত্তরঞ্জন – আসানসোল রাজ্য সড়কে বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছিলো শনিবার।
তাতে আহত হয়েছিলেন সালানপুরের জেমারি এলাকার বাসিন্দা তারক বাউরি(৫৫) ও সঞ্জয় বাউরি(৩৫)। আসানসোল থেকে আসানসোল চিত্তরঞ্জন রুটের একটি মিনিবাস চিত্তরঞ্জন যাচ্ছিলো। সেই সময় রামডি সংলগ্ন রাস্তায় জেমারি দিক থেকে আসা এক মোটর সাইকেলের সঙ্গে ঐ মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে মিনিবাসের চাকার তলায় চাপা পড়ে মোটরসাইকেলটি। এলাকার বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে সালানপুর থানার পুলিশ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানে পরে তারক বাউরির মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মিনিবাসের চালক ও খালাসী।
আর এই ঘটনার জেরে চিত্তরঞ্জন আসানসোল রাজ্য সড়কে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বাস মিনিবাস অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় স্থানীয় মানুষের অবরোধের কারণে । বাসিন্দাদের অভিযোগ এখানে মিনিবাস গুলি রেষারেষির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রামডি মোডের কাছে পথ অবরোধ করে আহত পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা এইসব বাস ও মিনিবাস গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং একই সঙ্গে আহত দুজনের আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবি জানান।
অন্যদিকে, এদিন আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরের রামনগরে একটি মন্দিরের সামনে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। মৃতর নাম বলাই দাস (৩২)। তার বাড়ি সালানপুর থানার সালানপুর ব্লকের শোবনপুরে।
রবিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুটি ঘটনায় মৃত দুজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়।